ঢাকা বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ , ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবৈধ অর্থ সরকারি কোষাগারে নেওয়া হবে!

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৪ মে ২০২৫

সর্বশেষ

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অবৈধ অর্থ সরকারি কোষাগারে নেওয়া হবে!

কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও দলের নিবন্ধন স্থগিতের পর আওয়ামী লীগকে নিয়ে আরও দুটি টার্গেট রয়েছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। প্রথমটি হলো, দলটির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি-লুটপাট ও অবৈধ অর্থ সরকারি কোষাগারে নেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো, সর্বোচ্চ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখা। এ দুই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে একাধিক সূত্র।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ-সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করার পাশাপাশি তা ফ্রিজ করা ও বাজেয়াপ্তের উদ্যোগ চলমান রেখেছে। আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর চলমান গ্রেপ্তার অভিযান আরও বেগবান হওয়ার পথ প্রসারিত হয়েছে।
সরকারসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অভ্যুত্থানে এক বড় হত্যাযজ্ঞের পরও পালিয়ে ও আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দেশকে অস্থির করে তোলার পাঁয়তারা করেই চলেছেন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা ছাড়া সরকারের হাতে বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিল না। যেহেতু দলের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে অরাজকতামুখর আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করা কিংবা দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সমালোচনা থাকবে না।

সূত্রগুলো আরও জানায়, আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই দেশের মানুষের কাছে একটি অপশক্তি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও ছাত্র-জনতার আন্দোলন সরকারকে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পথ বাতলে দিয়েছে।

সরকারি সূত্রগুলো আরও জানায়, আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলেও দলটির পক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কোনো আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় ভারত উদ্বিগ্ন বলে খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

সরকারি সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধে সমালোচনা না হওয়ার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারকে ফুরফুরা রেখেছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দলটিকে যে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার করে তুলেছিল এটি তারই প্রমাণ। ফলে নতুন বন্দোবস্তের রাজনীতিতে কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই। তাহলে দেশের গণতন্ত্র ও জনগণকে আরেকবার মহাবিপদের মুখোমুখি করবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির দায়িত্বশীল এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জনদাবি সরকার পূরণ করেছে মাত্র। এর বাইরে কিছুই নয়। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার রাজনীতি যে বা যারা করবে, তাদের দেশের আপামর জনগণ ছাড় দেবে না।’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে’ আওয়ামী লীগ ও তাদের দলটির নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির ‘সব ধরনের কার্যক্রম’ নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সমালোচনার সুর তেমন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি। তবে দলকে নিষিদ্ধ না করে দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে।

সন্ত্রাসীবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর অনুমোদনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত শনিবার তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বর্তমান আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ওই ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান ছিল না। এখন সেটি করা যাবে।’

গত সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।’

জনপ্রিয়