
বিশ্বযুদ্ধ এমন যুদ্ধকে নির্দেশ করে যাতে বিশ্বের অধিকাংশ জাতিই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে বা জড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় অথবা সাহায্যের জন্যে অগ্রসর হয়।
পৃথিবীতে এ পর্যন্ত মোট দুইটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ যা ১৯১৪ খিষ্টাব্দের ২৮ জুলাই ইউরোপে শুরু হয় এবং ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো।
এ যুদ্ধে ৬ কোটি ইউরোপীয়সহ আরো ৭ কোটি সামরিক বাহিনীর সদস্য ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম এই যুদ্ধে একত্রিত হয়েছিলো।
এটি ছিলো ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের একটি এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত দেশগুলোর রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন হয়। অনেক দেশে এটি বিপ্লবেরও সূচনা করে।
১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ খিষ্টাব্দ, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ খিষ্টাব্দের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এখন যুদ্ধে মেতে আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, যে যুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে ন্যাটো জোটসহ আরো কয়েকটি দেশ। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরসহ গাজায় চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। প্রতিদিন নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষ মারছে ইসরায়েল মশা-মাছির মতো। গাজার শিশুদের হত্যা করছে।
৬০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে এর মধ্যে লেবানন আর ইয়েমেনে হামলা করছে, হামলা করছে সিরিয়ায়। ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও। মাঝে মাঝে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জবাব দিচ্ছে ইয়েমেন। এসব ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্য রয়েছে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায়। চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব নানান কারণে বিশ্বজুড়ে চলছে ভয়ানক অস্থিরতা।
বিশ্বর আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আজ বিপর্যয়ের মুখে। এর মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের জন্য নতুন আরেক শঙ্কা হয়ে দেখা দিয়েছে।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের হামলায় ২৪ জন ভারতীয় বেসামরিক পর্যটকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দুইজন বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয় যাদের একজন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এবং অন্যজন নেপালের।
এই ঘটনায় একাধিক গণমাধ্যম দাবি করেছে, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সংগঠনের আওতাধীন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে পাকিস্তান সরকার এ দাবিকে অস্বীকার করেছে এবং কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া জানিয়েছে, দায় স্বীকারের বিষয়টি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গত ৬ মে মধ্যে রাতে অর্থাৎ ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানের অধীনে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারত দাবি করে, তাদের এই হামলার লক্ষ্য ছিলো পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত কথিত সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ছিলো ‘জইশ-ই-মুহাম্মদ’ ও ‘লশকর-ই-তাইয়েবা জঙ্গি সংগঠন’-এর ঘাঁটি ধ্বংস করা। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারত কি এই জঙ্গি সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করতে পেরেছে? যদি পেরে থাকে তাহলে কেনো সেটা ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে না? জঙ্গি তৎপরতা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। কিন্তু তারা যেভাবে অতর্কিতভাবে হামলা করেছে সেটিও সমর্থনযোগ্য না।
ভারত আরো দাবি করেছে, পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনায় তারা হামলা করেনি। বরং পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ১৫ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। মদ্দা কথা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তান একে অপরের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে গেছে। এ যুদ্ধ আপাতত শেষ। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে বলা মুশকিল।
বিশ্ব বিখ্যাত নাট্যধর্মী উপন্যাস ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’-এর রচয়িতা এবং ভারতীয় ঔপন্যাসিক অরুন্ধতী রায় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘এ যুদ্ধ পাকিস্তান ও ভারতের নয়, যুদ্ধ হলো সরকারগুলোর। এই যুদ্ধ আসলে একটি নাটক, যা দুই দেশের শাসক শ্রেণি সৃষ্টি করেছে--যারা ভয়ের আবহ ও ঘৃণা থেকে সুবিধা অর্জন করে। যাতে জনগণের দৃষ্টি দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং সরকারের ব্যর্থতা ও দমন-পীড়ন থেকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া যায়।’
অরুন্ধতী রায়ের এই মন্তব্যের গুরুত্ব এবং সত্যতা যাচাই করতে হলে ইতিহাস পড়তে হবে। ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নতুন কোনো ঘটনা নয়। ১৯৪৭-১৯৪৮ খিষ্টাব্দের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, যা প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নামেও পরিচিত ছিলো।
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধ। এটি ছিলো দুটি সদ্য স্বাধীন দেশের মধ্যে চারটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মধ্যে প্রথম। পাকিস্তান স্বাধীনতার কয়েক সপ্তাহ পরে ওয়াজিরিস্তান থেকে উপজাতীয় লস্কর (মিলিশিয়া) চালু করে যুদ্ধের সূত্রপাত করে, কাশ্মীর দখল করার এবং তার শাসকের ভারতে যোগদানের সম্ভাবনাকে বাতিল করার প্রচেষ্টায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং পুঞ্চে তার মুসলিম প্রজাদের বিদ্রোহের মুখোমুখি হন এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলির কিছু অংশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ১৯৪৭ খিষ্টাব্দের ২২ অক্টোবর পাকিস্তানের পশতুন উপজাতীয় মিলিশিয়ারা রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম করে।
এই স্থানীয় উপজাতীয় মিলিশিয়া এবং অনিয়মিত পাকিস্তানি বাহিনী রাজধানী শ্রীনগর দখলের জন্য অগ্রসর হয়, কিন্তু বারামুল্লায় পৌঁছানোর পর তারা লুণ্ঠন শুরু করে এবং থেমে যায়। মহারাজা হরি সিং ভারতের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন এবং সাহায্যের প্রস্তাব দেয়া হয়, তবে এটি তার ভারতে যোগদানের একটি দলিল স্বাক্ষরের সাপেক্ষে ছিলো।
যুদ্ধটি প্রথমে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বাহিনী এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী উপজাতীয় অঞ্চলের মিলিশিয়াদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলো। ১৯৪৭ খিষ্টাব্দের ২৬ অক্টোবর রাজ্যটি ভারতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর, ভারতীয় সৈন্যদের বিমানে করে রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগরে পাঠানো হয়েছিলো।
ব্রিটিশ কমান্ডিং অফিসাররা প্রথমে রাজ্যটির ভারতে অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানি সৈন্যদের এই সংঘর্ষে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তবে, ১৯৪৮ খিষ্টাব্দের পরে, তারা নতি স্বীকার করে এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধে প্রবেশ করে।
পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ফ্রন্টগুলো ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ১৯৪৯ খিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে একটি আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর ঘোষণা করা হয়।
অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, যুদ্ধটি অচলাবস্থার মধ্যে শেষ হয়েছিলো। কোনো পক্ষই স্পষ্ট বিজয় পায়নি। তবে, অনেকেই বলেছেন, ভারত বিজয়ী হয়ে ওঠে। কারণ, তারা বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ সফলভাবে অর্জন করেছিলো। ১৯৪৭ খিষ্টাব্দের শুরু হওয়া সেই যুদ্ধ এখনো টিকে আছে। কখনো প্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে। যার ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। যারা জানে না যুদ্ধ কী, যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা কী এবং এর অর্জনই বা কী?
গত বছরের জুন মাসে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে রাশিয়াকে বেছে নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের ইতি টানার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মোদি বলেছিলেন, ‘শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। একজন বন্ধু হিসেবে আমি বলছি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করলে বা তাদের মরতে দেখলে হৃদয়ে অসহনীয় আঘাত লাগে।’
রাশিয়া সফর নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমি জানি, যুদ্ধ সমস্যার সমাধান করতে পারে না। বোমা, বন্দুক ও গুলির মধ্য দিয়ে শান্তি আলোচনা হতে পারে না। আলোচনার মাধ্যমে আমাদের শান্তির পথ খুঁজতে হবে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ভারতের।
রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল ও অস্ত্র কিনে থাকে ভারত। প্রকৃত বন্ধু হিসেবে আমরা একসঙ্গে আছি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি খুশি যে ইউক্রেন ইস্যুতে আমরা বিস্তারিতভাবে মতামত প্রকাশ করতে পেরেছি।’
নরেন্দ্র মোদির সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে প্রচার এবং প্রকাশ হয়, যেগুলোর লিংক ইন্টারনেটে রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছে করলেই সেটা দেখা বা পড়া সম্ভব।
কিন্তু এটা ভাবা সম্ভব নয়, কয়েক মাস আগে যে মানুষটি এতো মানবতার কথা আওড়ালেন সেই মানুষটি কীভাবে নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে হত্যার আদেশ দিতে পারেন? এক্ষেত্রে পাকিস্তানি জঙ্গিবাহিনী আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? ২২ এপ্রিলের পাকিস্তানি জঙ্গিবাহিনী এবং ৭ মে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক দুটো ঘটনাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। দুটি ঘটনাই চূড়ান্তভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ।
গত ৬ মে মধ্যে রাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘটনার পর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে পাঠিয়েছেন।
সেই বিবৃতিতে পাকিস্তান ও ভারতের যুদ্ধ সর্ম্পকে তিনি বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব এমন এক সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে, যেখানে দ্বিপাক্ষিক সংঘাত শুধু সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকে না—তা মানবতা, অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। কূটনৈতিক উদ্যোগ, সংলাপ এবং পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা নির্মাণই এই অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নের একমাত্র পথ।’
নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘আমি জানি, যুদ্ধ সমস্যার সমাধান করতে পারে না।’ আ স ম আবদুর রবও বলছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়।’ এদের দুইজন-ই রাজনৈতিক ময়দানের পাকা খেলোয়াড়।
তারা খুব ভালোভাবে জানেন কখন, কোথায় এবং কীভাবে জনগণকে বোকা বানানো যায়। এসব নেতাদের কর্মকাণ্ডে বলির পাঁঠা হতে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে। এটা অতীত এবং বর্তমান উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যুদ্ধের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, ‘রাজ্য, সরকার, সমাজ বা আধাসামরিক বাহিনী যেমন ভাড়াটে সৈন্য, বিদ্রোহী এবং যেকোনো প্রকারের সামরিক বাহিনীর মধ্যে একটি তীব্র সশস্ত্র সংঘর্ষ। এক্ষেত্রে সাধারণত নিয়মিত বা অনিয়মিত সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের ফলস্বরূপ চরম হিংস্রতা, আগ্রাসন, ধ্বংসলীলা এবং বহুসংখ্যক মৃত্যু দেখা যায়।’
পৃথিবীতে এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত সাময়িক বিরতিতে সম্মত হলেও ভবিষ্যতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, ভবিষ্যতে সার্বিক পরিস্থিতি আরো নাজুক হবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সন্নিকটে পৃথিবী!
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক