ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা করতে পারে ভারত

আন্তর্জাতিক

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১০:০২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ

৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা করতে পারে ভারত

কাশ্মির পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার শোধ নিতে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত। গোয়েন্দা তধ্যের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। ভারত সামরিক পদক্ষেপ নিলে পাকিস্তান সমুচিত জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি । এছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ইস্যুতে সজাগ থাকবে ও যে কোনো উত্তেজনা বা হঠকারিতা এবং এর ফলে সৃষ্ট পরিণতির দায় ভারতের ওপর বর্তাবে বলেও তিনি জানান। 

সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই এই সংবাদ সম্মেলন করেন তারার।

সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দাসূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যে, পেহেলগাম ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে যে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ ভারত এনেছে, তার জের ধরে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে দেশটি।”
সংবাদ সম্মেলনে আতাউল্লাহ’র অভিযোগ অভিযোগ করেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়েই ‘স্বঘোষিত’ এবং ‘এককভাবে’ বিচারক, জুরি ও জল্লাদের ভূমিকা নেয় ভারত যা পুরোপুরি বেপরোয়া এবং পাকিস্তান ভারতের এই ভূমিকা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার তদন্তের জন্য যদি একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠিত হয়, সেক্ষেত্রে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে সেই কমিশনকে খোলা মনে সব ধরনের সহযোগিতা করতে পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে— দাবি করে আতাউল্লাহ তারার বলেন, “কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারত এমন এক পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অযৌক্তিকতা ও সংঘর্ষে পরিপূর্ণ; এবং এই পথ শেষ পর্যন্ত এই উপমহাদেশ সংলগ্ন অংঞ্চলগুলোর চূড়ান্ত সর্বনাশ ঘটাবে।”

“ভারত নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য তদন্ত এড়িয়ে যেতে চায়। দেশটির সত্যিকারের উদ্দেশ্য কী— তা বোঝার জন্য এটি এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।”

“রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ভারত সচেতনভাবে তার জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে নিয়ে খেলছে। কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তার প্রভাব আমরা দেখছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক।”

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের গুলিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।

ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

হত্যাকারীদের ধরতে জম্মু ও কাশ্মিরে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে ভারতের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া ২২ এপ্রিলের পর থেকে কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজনের নিহত হওয়ার সংবাদও পাওয়া গেছে।

সূত্র : ডন

জনপ্রিয়