রাঙ্গুনিয়ায় বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহতের ঘটনায় ক্যাম্পাস তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল। এদিকে, বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বাসের চাপায় মোটরসাইকেলে চুয়েটের দুই ছাত্র-- শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন--নিহত হন। ঘটনার পর থেকেই চুয়েট ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা গত দুদিনও বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলার মাধ্যমে তৌফিক ও শান্ত হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ ও শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে আহত চুয়েট ছাত্র হিমুর সব চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্র্যাভেলসসহ সব লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে, চুয়েটে বাস পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ চুয়েট অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে, চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়া বাসের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসচালকের নাম মো. তাজুল ইসলাম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়। বাসচালক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।