
ঢাকাসহ দেশের ৪৫ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ ছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহ এত বিস্তৃত ছিল না। গত বুধবার থেকে দেশের বিস্তৃত এলাকায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। শুক্রবার দেশের ৪৫ জেলায় তাপপ্রবাহ চলছে। এটি চলবে আজ শনিবার ও আগামীকাল পর্যন্ত। তারপর থেকে সারদেশের তাপমাত্রা কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, এখন দেশের অধিকাংশ এলাকায় ৩৬ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা। আগামী দুইদিন পর ধীরে ধীরে কমে আসবে তাপমাত্রা। এরপর কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা সহনীয় হয়ে আসবে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশের রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, বরিশাল এবং পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা, খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
চলতি বছর দেশের তীব্র তাপপ্রবাহের রেকর্ড কম। এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ দেখা দেয়। তবে এপ্রিল মাসে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হয়েছে। তাতে কমেছে তাপ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, এ বছরের এপ্রিল মাসে গড় তাপমাত্রা গত বছরের (২০২৪) চেয়ে অন্তত ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা লালমনিরহাটের ডিমলায়, ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এটি রাজধানীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।