ঢাকা শনিবার, ১০ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাসে শিক্ষকের ভূমিকা

মতামত

সাধন সরকার, আমাদের বার্তা

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১০ মে ২০২৫

সর্বশেষ

পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাসে শিক্ষকের ভূমিকা

পৃথিবীর সব পেশার সঙ্গে পেশাগত উন্নয়ন বিষয়টি জড়িত। শিক্ষকতা মহান পেশা। শ্রেণিকক্ষে আনুষ্ঠানিক পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষক যেমন অভিজ্ঞতা লাভ করেন তেমনি অনানুষ্ঠানিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়ও পেশাগত উন্নয়ন সম্ভব হয়।

শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন বলতে শিক্ষকের কর্মের উন্নয়ন, জ্ঞানের উন্নয়ন, দক্ষতার উন্নয়ন ও মনোবৃত্তির উন্নয়ন বোঝায়। এসব উন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষার্থীর পঠন-পাঠনের উন্নয়নও জড়িত। শিক্ষার ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা। শিক্ষকের পেশাগত ডিগ্রি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত শিক্ষার গুণগত মানোউন্নয়নে ভূমিকা রাখে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিদ্যালয়গুলোতে এইচএসসি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ক্যাটাগরির শিক্ষক রয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য ৯ ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন ঘটলে অবশ্যই শিক্ষার্থীর পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাসে তার প্রতিফলন পড়ে। আর পাঠের দক্ষতা তৈরি পাঠাভ্যাসে ভূমিকা রাখে। ফলশ্রুতিতে স্বাধীন পাঠক তৈরি হয়।

‘বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় জরিপ-২০২৩’ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের অনুপাত ২৯:১, যা আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি। শিক্ষার্থীর পঠনদক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেনোনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা যতো কম হবে শিক্ষক শিক্ষার্থীর পঠন-পাঠনে সময় দিতে পারবেন বেশি।

শহর ও গ্রাম দুই পর্যায়েই শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ফারাক কম থাকলেও বিদ্যালয়ভিত্তিক বিচার করলে অনুপাতের ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। সমস্যাটা মূলত এখানেই। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার মাঠ পর্যায়ের জরিপ মতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত পঠন যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে না।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীই জটিল বাক্য ও শব্দ পড়তে পারে না। ‘জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন-২০২১’ খ্রিষ্টাব্দের তথ্য অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণির মাত্র ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের শ্রেণির উপযোগী বাংলা পড়ার দক্ষতা অর্জন করেছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণি উপযোগী বাংলা পড়ার দক্ষতা থেকে পিছিয়ে আছে। 

এর অর্থ এটা নির্দেশ করে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা শ্রেণি উপযোগী বর্ণ ও চিহ্ন বোঝার থেকে দুর্বল থেকে যাচ্ছে। আর সাবলীলভাবে পড়তে না পারলে স্বাধীন পাঠকও তৈরি হবে না। অপরদিকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রাথমিকের ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সাবলীলভাবে পড়তে পাড়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ কারণে গবেষণার মাধ্যমে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন কীভাবে শিক্ষার্থীর পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাসে ভূমিকা রাখে তার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করা দরকার। শিক্ষক মাত্রই তাকে পেশাগত উৎকর্ষের সংগ্রাম করে যেতে হয়। পেশাগত কৌশল ও দক্ষতাবৃদ্ধির মাধ্যমে পেশার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বা প্রয়োগ করার প্রক্রিয়ায় হলো পেশাগত উন্নয়ন। নতুন জ্ঞানের সন্ধান, জ্ঞান চর্চা, নিজেকে অনুসন্ধিৎসু রাখার মাধ্যমেই শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা অর্জিত হয়। আত্ম-উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষক নিজেকে নতুন রূপে উপলব্ধি করেন। শিক্ষকের জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের উন্নয়ই হলো আত্মউন্নয়ন।

শিক্ষকের পেশাগত উন্নয়ন শ্রেণিকক্ষের শিখন-শেখানোর দক্ষতাকে ত্বরান্বিত করে। পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন ঘটলে শিক্ষার্থীর শিখন-শেখানো কাজে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। শিক্ষকের অভিজ্ঞতার বড় ক্ষেত্র হলো পাঠদানের শ্রেণিকক্ষ। শিক্ষক তার প্রতিফলনমূলক চিন্তার মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিতে পারেন।

শিক্ষার্থীর শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল, শ্রেণিকক্ষে ও পঠন-পাঠনে শিক্ষার্থীর সাড়াদান, শিখন চাহিদা, শিখন ভীতি, শিখন প্রতিবন্ধকতা, শিখন পরিবেশ, শিখনফল অর্জনের সক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় উপলব্ধি করে শিক্ষক শিক্ষার্থীর পঠনে-পাঠনে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে পারেন।

একজন উন্নয়নপ্রত্যাশী শিক্ষক আশপাশের শিক্ষার্থী, তত্ত্বাবধায়ক ও সহকর্মীর নিকট থেকে ফলাবর্তন নেন এবং নিজের আত্মন্নোয়ন ঘটান। একজন শিক্ষকের জন্য আত্মপ্রতিফলন ও আত্মরিপোটিং তার পেশাগত উন্নয়ন ঘটাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি তা শিক্ষার্থীর পঠন উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

পঠন হলো ধ্বনি ও দৃশ্যের সঙ্গে অর্থ উপলব্ধির একটি মিলিত প্রক্রিয়া পঠন মূলত একটি সক্রিয় প্রক্রিয়া। এর মাধমে পাঠক নিজে নিজে বোঝার ক্ষমতা অর্জন করে। লেখক ফ্রান্সিস বেকন বলেছেন, ‘পরিপূর্ণ পঠন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত করে।’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমের ইংরেজি বই বাদে বাকি সবগুলো বই বাংলা ভাষায় লেখা।

তাই একজন শিক্ষার্থীর যদি বাংলা ভাষায় পঠন দক্ষতা তৈরি না হয় তাহলে অন্যান্য বিষয়ও ভালো করে বুঝতে পারে না। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি, তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন।’ নিজের মাতৃভাষায় পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস না থাকলে অন্য যেকোনো ভাষা তার জন্য বোধগম্য হয় না। পঠনের পাঁচটি মৌলিক উপাদান রয়েছে। এগুলো হলো-১. ধ্বনি সচেতনতা ২. বর্ণজ্ঞান ৩. শব্দজ্ঞান ৪. পঠন সাবলীলতা ও ৫. বোধগম্যতা।

একজন শিক্ষার্থী যদি এই পাঁচটি দক্ষতা অর্জন করে তাহলে বুঝতে হবে শিক্ষার্থীর মধ্যে পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস গড়ে উঠেছে। এই পাঁচটি দক্ষতা প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশু শিক্ষার্থীরা ধ্বনি শুনে, উচ্চারণ করে, বর্ণ লিখে ও মিল করে পড়তে শেখার মাধ্যমে অর্জন করে। তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শব্দ চেনা, অর্থসহ বাক্য বোঝা, যতিচিহ্ন মেনে স্পষ্ট উচ্চারণ, অনুচ্ছেদ বুঝতে পারার মতো সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করতে পারলেই তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে পাঠাভ্যাস তৈরি হয়। পাঠের দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস একজন শিক্ষার্থীকে স্বাধীন পাঠকের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যায়।

প্রাথমিকে উক্ত পাঁচটি দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে পরবর্তী জীবনে একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্বাধীন পাঠক হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। পঠন দক্ষতার উন্নয়নে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেনোনা এ সময় শিক্ষার্থীর পড়ার ভিত তৈরি হতে থাকে।

পঞ্চম শ্রেণিতে যাওয়ার আগেই একজন শিক্ষার্থী সাবলীলভাবে পড়ার দক্ষতা অর্জন করে। এ সময় পড়ার দক্ষতা তৈরি না হলে পরবর্তী শিক্ষাজীবনে তার ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। একজন শিক্ষক তার পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাধীন পাঠক তৈরির দক্ষতা অনেক আগে রপ্ত করেছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। তিনি শিক্ষক হিসেবে চর্চা অব্যাহত রেখে শিক্ষার্থীর পঠনে সহায়তা করে থাকেন।

ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাস আলোচনা করিয়া দেখ মাতৃভাষার উন্নতি ব্যতীত কোনো জাতি কখনো কি বড় হইতে পারিয়াছেন?’ এককথায় মাতৃভাষার দক্ষতা ব্যতীত পঠন দক্ষতা অর্জন করা আদৌ সম্ভব নয়। প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে পঠনভিত্তিক চারটি যোগ্যতা অর্জন করার কথা বলা হয়েছে: ক. বাংলায় ছড়া, কবিতা, গল্প, কথোপকথন, বক্তৃতা, বর্ণনা ইত্যাদি মনোযোগ সহকারে পড়ে মূলভাব বুঝতে পারা।

খ. বাংলা ভাষার গঠনপ্রণালী, বাক্যবিন্যাস ও নিয়মশৃঙ্খলা প্রয়োগ করতে পারা। গ. সংখ্যাবাচক শব্দ পড়তে পারা। ঘ. বাংলা ভাষার মৃদ্রাক্ষর ও হস্তাক্ষর শুদ্ধ উচ্চারণে পড়তে পারা এবং বাংলা ভাষায় জ্ঞানার্জন অব্যাহত রাখতে সমর্থ হওয়া। উক্ত পঠনভিত্তিক দক্ষতা অর্জনে শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতার যথাযথ অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর পঠন দক্ষতা অর্জনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকেন শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক। পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি করার জন্য আগে জানা প্রয়োজন শিশু কীভাবে পড়তে শেখে। পঠনে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক. ভাষা দক্ষতা অর্জন, দুই. পাঠের মমার্থ উপলব্ধি। শিশুর পঠন দক্ষতা উন্নয়নে দুটি পদ্ধতি অনেক আগ থেকে প্রচলিত। এক. ‘ধ্বনি থেকে বাক্য’ দুই. ‘বাক্য থেকে ধ্বনি’ পদ্ধতি। ‘ধ্বনি থেকে বাক্য’ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী মাতৃভাষার পুরো বর্ণমালা এবং উচ্চারণগত দিকটি অর্জন করে। ধীরে ধীরে বর্ণ দিয়ে শব্দ এবং শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে শেখে।

কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘ধ্বনি থেকে বাক্য’ পদ্ধতিতে শিশুর মৌখিক বিশাল ভান্ডারকে কম গুরুত্ব দেয়া হয়। ফলে পঠনের আসল উদ্দেশ্য বিশেষ করে বিষয়বস্তুর মমার্থ উপলব্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে। এই পদ্ধতিকে পরোক্ষ পদ্ধতি বলে আখ্যায়িত করা হয়। শিখন প্রক্রিয়ার পঠন সামগ্রীতে ব্যবহৃত বিশেষ শৈলী বা রীতি, শব্দের অর্থ, প্রসঙ্গের ব্যাখ্যা, উচ্চারণের শুদ্ধতার মাধ্যমে শিশুর পুরোপুরি কার্যকর পঠন দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়।

তাই অনেক গবেষকগণ ‘বাক্য থেকে ধ্বনি’ পদ্ধতির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে অর্থ বুঝতে এবং তথ্য প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে ভূমিকা রাখে। এই পদ্ধতিতে শিশুর পূর্বধারণা, ভাষা দক্ষতা, অভিজ্ঞতার মতো বিষয়গুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এই পদ্ধতির সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো অর্থ বুঝতে পারা, পড়ার মাধ্যমে বর্ণ, শব্দ ও বাক্য তৈরি।

শিশুরা যদি বই পড়ে শব্দ ও বাক্যের অর্থ বুঝতে না পারে, পরবর্তীতে সে আর বই পড়তে আগ্রহী হয় না। তবে এককভাবে দুটো পদ্ধতির কোনোটাই শিক্ষার্থীর কার্যকর পঠন দক্ষতার জন্য যথেষ্ট নয়! ‘ধ্বনি থেকে বাক্য’ পদ্ধতিতে যেমন অর্থ বা মমার্থ উপলব্ধির বিষয়টি উপেক্ষিত থাকে তেমনি ‘বাক্য থেকে ধ্বনি’ পদ্ধতিতে অর্থ অনুধাবনে অধিক গুরুত্ব দেয়ার ফলে ভাষা দক্ষতার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়। তাই সমসাময়িক গবেষকগণ শিশুর ভাষার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জনে এই দুটো পদ্ধতির সমন্বয়ে মিশ্র পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

পড়ার ধারা বজায় রাখার মাধ্যমে শিশুরা পঠন দক্ষতা অর্জন করে। নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে শিশু যখন আনন্দ লাভ করে তখন তার মধ্যে পড়ার স্পৃহা তৈরি হয়। শিশুর শিখন প্রক্রিয়া মূলত ‘স্ক্যাফোল্ডিং’। শিখনের এই স্ক্যাফোল্ডিং তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। এক. সহযোগিতামূলক পাঠ, দুই. নির্দেশিত পাঠ, তিন. স্বাধীন পাঠ। অন্যের সহযোগিতার মাধ্যমেও শিশুর পঠন দক্ষতা অর্জন হয়। আর নির্দেশনার মাধ্যমে শিশু স্বাধীন পাঠক হিসেবে বেড়ে ওঠে।

নিজে নিজে অর্থ বুঝে পড়তে পারা একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় অর্জন। পঠন দক্ষতা ও পাঠ্যাভ্যাস স্বাধীন পাঠক তৈরি করে। শিক্ষার্থীর পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাসে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করি।

লেখক: শিক্ষক

 

জনপ্রিয়