
ব্যাংকঋণের সুদহার কোনো কোনো ব্যাংকে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এর প্রভাবে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহারও বাড়াতে শুরু করেছে। বিশেষ করে খারাপ অবস্থায় থাকা কিছু ব্যাংক আমানত টানতে গ্রাহকদের ১২ শতাংশ পর্যন্ত চড়া সুদহার দিচ্ছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, সুদহারের সীমা তুলে নেয়ার ফলে ব্যাংকগুলো আমানতে বেশি সুদ দিতে পারছে। এতে সঞ্চয়কারীরা ব্যাংকে টাকা রাখতে আগ্রহী হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি-সুদহার বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার ফলেও ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদহার কিছুটা বেড়েছে। কোনও কোনও ব্যাংক সঞ্চয়পত্র ও বন্ডের চেয়েও বেশি সুদ দিচ্ছে। এসব ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে। তারা অনেকটা বেপরোয়াভাবে টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশি সুদ এখন ব্যাংকে। স্থায়ী আমানতে ১৩.৪০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে কোনো কোনো ব্যাংক। অথচ সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ১১.৭৬ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।
বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক এখন সাড়ে পাঁচ বছরে দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমানত নিচ্ছে। ব্যাংকগুলো এ ধরনের আমানতে সুদ দিচ্ছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এক বছরের স্থায়ী আমানতে একটি ব্যাংক ১১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। আরেকটি ব্যাংক ছয় বছরের জন্য টাকা জমা রাখলে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। আমানতে একই বা কাছাকাছি সুদ দিচ্ছে আরো বেশ কিছু ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট আমানত ১৬.৬১ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৪৩ শতাংশ বেশি।