২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে এক্সিম ব্যাংকের মুনাফা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নয় দশমিক চার শতাংশ কমে ৩৩৭ কোটি টাকা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ৩৭২ কোটি টাকা মুনাফা করেছিলো শরিয়াহভিত্তিক এই ব্যাংকটি।
এক্সিম ব্যাংকের মুনাফা এমন সময় কমলো যখন এই ব্যাংকটির সঙ্গে সমস্যায় জর্জরিত পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ব্যাংকটির ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মুনাফা গত ছয় বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
সে হিসাবে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩৩ পয়সা। এটি আগের বছর ছিলো দুই টাকা ৫৭ পয়সা।
কোম্পানি সচিব মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মূলত বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন অর্থাৎ ঋণ হিসেবে রাখা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ইপিএস কমেছে। অন্যদিকে, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ২২ টাকা থেকে বেড়ে ২৩ টাকা হয়েছে। শেয়ারপ্রতি নেট পরিচালন নগদ সরবরাহ গত বছর নেতিবাচক ১৩ টাকা দুই পয়সা থেকে বেড়ে পাঁচ টাকা ৯৪ পয়সা হয়েছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে এক্সিম ব্যাংকের অপর তথ্যে জানা গেছে, মূলত আগের সময়ের তুলনায় 'গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত' ও 'ট্রেডিং লায়াবিলিটি (ঋণ)' বেড়ে যাওয়ায় এই দাম বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়। এটি আগের দুই বছরে একই ছিলো। লভ্যাংশ ও নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ২৪ জুন। গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত হওয়ার অভিপ্রায় পত্রে সই করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত বছর শেষে পদ্মা ব্যাংকের পাঁচ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশই খেলাপি ছিলো। এর বিপরীতে এক্সিম ব্যাংকের ৪৬ হাজার ৯৩৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার মোট বকেয়া ঋণের প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ খেলাপি হয়ে আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন অনুসারে, সম্পদ মূল্যায়নের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। তা না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় এসে মতপার্থক্য দূর করতে সহায়তা করবে। এতেও কাজ না হলে একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।