নাটোর সদর উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দিঘাপতিয়া টেক্সটাইল মিলের সামনের মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসটির মালিক ও যাত্রীদের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
তবে জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন, ওই মাইক্রোবাসে করে বিএনপির নেতা–কর্মীরা বগুড়ায় রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। তবে এই নেতা-কর্মীদের নাম–পরিচয় জানাতে পারেননি তাঁরা। পুলিশ মাইক্রোবাস পোড়ানোর ঘটনা সত্য বলে জানালেও কারা, কেন পুড়িয়েছেন, তা জানাতে পারেনি।
নাটোর সদর থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছয় থেকে আট যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে টেক্সটাইল মিলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় নাটোর থেকে বগুড়া অভিমুখী একটি মাইক্রোবাস সেখানে পৌঁছুলে ওই যুবকেরা মাইক্রোবাসটি থামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
মাইক্রোবাসের ১০-১২ জন আরোহী দ্রুত নেমে গিয়ে জীবন রক্ষা করেন। যাত্রীরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় ওই যুবকেরা তাঁদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাইক্রোবাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, ওই মাইক্রোবাসে লালপুর উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় দলীয় মহাসচিবের রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা মাইক্রোবাসটি থামিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কুপিয়ে জখম করে এবং মাইক্রোবাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আহত ব্যক্তিরা জীবনরক্ষার জন্য অজ্ঞাতনামা স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে দাবি তাঁর। তিনি মাইক্রোবাসের আরোহীদের পরিচয় জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি যোগাযোগের চেষ্টা করছি। পেলে আপনাদের জানাব।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেক শেখ বলেন, মাইক্রোবাসে আগুন লাগানোর ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত ছিল না। বিএনপির অভিযোগ সত্য নয়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মাইক্রোবাসটিকে দাউ দাউ করে পুড়তে দেখছি।