
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কে আজাদ বলেন, ফরিদপুরে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে যাতে সেখানে কিছু কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি আমরা এলাকায় বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল গড়েছি। আপনারা জানেন আমরা মাজেদা বেগম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নামে একটি হাসপাতাল গড়ে তুলেছি। যেখানে দরিদ্র সাধারণ মানুষরা চিকিৎসা পেত না তারা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে। আমরা আট থেকে দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি সেখানে কোয়ালিটি এডুকেশন দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কোতোয়ালি এলাকার মধ্যে যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্মত পড়ালেখা হচ্ছে না সেগুলোর মান উন্নয়নে কাজ করবো।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে আমাদের প্রতি কোনো চাপ নেই। কারণ, পার্টি থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আমরা যারা মনোনয়ন চেয়েছিলাম তাদের সবাইকে মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হয়নি অতএব পার্টির মধ্য থেকে যদি আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হই তাহলে দলের কোনো আপত্তি থাকবে না।
নিজের জয়ের বিষয়ে একশ শতাংশ আশাবাদী জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, এর মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের যতো রকমের মতবিনিময় হয়েছে তারা নিশ্চয়তা দিয়েছে একশ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া শান্তিতে মানুষ ভোট প্রয়োগ করতে পারবে এবং কোনো প্রার্থীর প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হবে না।
এ কে আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে ধারা চলেছে, তা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়েই তিনি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফরিদপুরের এই আসন থেকে নির্বাচিত হলে তিনি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারবেন।
ভবিষ্যতে নির্বাচনী এলাকার ১২টি ইউনিয়নের সব কটিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ কে আজাদ বলেন, আমার প্রথম অগ্রাধিকার কর্মসংস্থান। সাধারণ কোনো কর্মসংস্থান নয়, বরং প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর কর্মসংস্থান।