
বিদ্যমান নারী সংস্কার কমিশন বাতিল করে দেশের মূলধারার নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে জাস্টিস কাউন্সিল। এসময় বক্তারা বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলোকে সংস্কার না বলে বরং সমাজ বিধ্বংসী ও মূল্যবোধবিরোধী ষড়যন্ত্র বলা যেতে পারে।
শনিবার (১০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘নারীর প্রতি বৈষম্য: সুবিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামই সমাধান’ আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানজুরে এলাহী, বাংলাদেশ জমইয়তে আহলে হাদিসের সহ সভাপতি আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী, ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, এ প্রস্তাবনার মাধ্যমে ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকারকে উপেক্ষা করে পাশ্চাত্য মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস, পারিবারিক কাঠামো এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই এমন প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা নারীর সম্মান চাই, কিন্তু পতিতাবৃত্তি বা চারিত্রিক বিকৃতির মাধ্যমে নয়। আমরা বলতে চাই, ইসলামই নারীকে যথাযথ সম্মান, অধিকার ও দায়িত্বের ভারসাম্য স্থাপন করে প্রকৃত সুবিচার নিশ্চিত করে।
জাস্টিস কাউন্সিলের দাবিগুলো হলো- বিদ্যমান সংস্কার কমিশন অবিলম্বে বাতিল করে ইসলামিক স্কলার ও দেশের মূলধারার নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। শিক্ষাক্রম থেকে বিকৃত যৌনতা ও জেন্ডার থিওরি সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করতে হবে। এলজিবিটি প্রপাগান্ডা রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন করতে হবে। ইসলামী পারিবারিক আইন সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পতিতাবৃত্তি ও ব্যভিচারকে সামাজিক অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতাকে নারীর অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। দেশের নৈতিকতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষার্থে জাতীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ পরিষদ গঠন করতে হবে।