
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বুধবার (২১ মে) এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় কড়া অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ভবনের সামনের রাস্তায় দেয়া হয়েছে কাঁটাতারের ব্যারিকেড।
এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনের আশেপাশেও পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুলিশের পাশাপাশি কোস্ট গার্ড, বিজিবি, র্যাব এবং সেনা সদস্যদের রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।
এদিকে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান এনসিপি নেতারা । অন্যথায় কমিশনের পদত্যাগসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আসে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আলোকে দ্রুত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান নেতারা।
তারা আরও বলেন, অবৈধ একটি নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশ করায় নিরপেক্ষতা হারিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমান কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দ্রুত কমিশনের পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগে ২০ মে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ইসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশের ঘোষণা দেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তাই কমিশনের ওপর ভরসা রাখতে পারছি না। দ্রুত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। ৫ আগস্টের পর সবকিছু পরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচনের দিকে নেয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেয়া জরুরি। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিক। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি নেই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর জন্য বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের নগর ভবন অবরুদ্ধের বিষয়ে এনসিপির এ আহ্বায়ক বলেন, ‘যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সমাধানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। পক্ষপাতমূলক গেজেট প্রকাশ হয়েছে। ওই আমলের সব নির্বাচনই আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি বলেন, ইসি এই সংকট তৈরি করেছে। রায়ের পর তারা কোনো আপিলও করেনি। এতে প্রমাণিত যে তারা একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করছে। একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে যে ম্যাচিউরিটি আশা করা যায় তা দেখা যাচ্ছে না। তারা জনভোগান্তি তৈরি করছে।