ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে নামার আগে এ সংস্করণের ক্রিকেটে নিজের শেষের কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারের ভরসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ রানটাও এসেছিল তার ব্যাট থেকে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচের সাথে ৩৮ বর্ষী মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারের যবনিকা ঘটছে।
মাহমুদউল্লাহ টি-টুয়েন্টিতে বিদায় প্রসঙ্গে তার এ খেলোয়াড় বলেছিলেন, ‘বিদায় বেলায় আমার কোনো আফসোস নেই। সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়েছে, এটাই সঠিক সময় নিজেকে থামানোর। আমি আগে থেকেই ভেবে এসেছি, এখানেই এই ঘোষণা দেবো। আমি ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’
‘আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টুয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে সেপ্টেম্বরের প্রথমদিনে, নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর অভিষেক হয়েছিল টি-টুয়েন্টিতে। লাল-সবুজের জার্সিতে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯ টি-টুয়েন্টি খেলেছেন। ১২৮ ইনিংসে ব্যাট করে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ২,৩৯৫ রান করেছেন ৮ ফিফটিতে। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ৬৪ রানের, গড় ২৩.৪৮।
টি-টুয়েন্টিতে দীর্ঘসময় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১৮ থেকে ২০২২-এর মধ্যে এ ফরম্যাটে ৪৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জয় এনেছেন ১৬ টি-টুয়েন্টিতে, হার ২৬ ম্যাচে। ২০২১ সংযুক্ত আরব আমিরাত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে খেলেছে বাংলাদেশ।