
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ঝিনাইদহ দত্তনগরের তিনটি খামারের দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগে খামারের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন।
অভিযুক্তরা হলেন- বিএডিসির যশোরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের সাবেক উপপরিচালক মো. আমিন উল্যা, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর বিএডিসি করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, দত্তনগর বিএডিসি গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, দত্তনগরে বিএডিসি করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক গুদাম রক্ষক রেজাউল কবির, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিএডিসি পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক আক্তারুজ্জামান তালুকদার, বিএডিসি যশোরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আলী হোসেন, মহেশপুর উপজেলার গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক গুদাম রক্ষক মো. লিয়াকত আলী ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক ভারপ্রাপ্ত গুদাম রক্ষক কামরুল আহসান। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. আল আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে বিএডিসির ঝিনাইদহের দত্তনগর করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামার, মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামার ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারে ২০১৮-১৯ উৎপাদন বছরে দুই কোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৫ টাকার বীজ আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ১২৯ টন হাইব্রিড ধান বীজ, চার দশমিক শূন্য ৬৯ টন ব্রি-২৮ জাতের ধান বীজ, ২১ দশমিক ৮১৮ টন বারি-৩০ জাতের গম বীজ। তারা বীজ গুদামজাত বইয়ে অন্তর্ভুক্ত কিংবা উত্তোলন না করে আত্মসাৎ করেন। পরে তা বিএডিসি যশোরের ঝুমঝুমপুরে বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি বিএডিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি বীজ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পায়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করেছে দুদক।