ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

ভোলার গ্যাস ঢাকায় 

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ২০:০১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

ভোলার গ্যাস ঢাকায় 

দক্ষিণের দ্বীপ জেলা ভোলার গ্যাস এবার জেলার বাইরে কাজে লাগতে যাচ্ছে। কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) হিসেবে সিলিন্ডারে ভরে এ গ্যাস পৌঁছে দেয়া হচ্ছে শিল্পকারখানায়।বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গ্যাস সরবরাহ শুরু হলো। ঢাকার ধামরাইয়ে বস্ত্র খাতের একটি কারখানায় গেছে গ্যাসের প্রথম সরবরাহ।

রাজধানীর একটি হোটেলে সিএনজি সিলিন্ডারে করে ভোলার গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতি সিলিন্ডারে গ্যাস থাকবে সাড়ে তিন হাজার ঘনমিটার। বিশেষ ট্রাকে করে এটি পরিবহন করা হচ্ছে। এই সিএনজির প্রতি ঘনমিটারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। আর পাইপলাইন থেকে এখন সরাসরি শিল্প গ্যাস পাচ্ছে ৩০ টাকায়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের ইতিহাসে এভাবে গ্যাস সরবরাহের এটি প্রথম ঘটনা। সিলিন্ডারের পাশাপাশি ভোলার গ্যাস বাইরে আনতে বরিশালের সঙ্গে একটি পাইপলাইন করা হবে। এরপর তা খুলনার শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। উত্তরাঞ্চলেও গ্যাস সরবরাহের চিন্তা আছে। রংপুর পর্যন্ত ইতিমধ্যে গ্যাস পাইপলাইন চলে গেছে। 

তিনি আরো বলেন, শিল্পে গ্যাসের এতো বেশি চাহিদা, দামের প্রশ্ন আসছেই না। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, দিনে এখন ৫০ লাখ ঘনফুট সরবরাহ করা হবে। তবে ভোলার গ্যাস সরবরাহ কেবল শুরু। এটি ধাপে ধাপে আরো বাড়ানো হবে। 

সম্পদ মাটির নিচে না রেখে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই আরো বেশি কূপ খনন করে দেশে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে। এলএনজি আমদানি কমাতে পারলে অর্থনৈতিক সাশ্রয় হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, চাহিদা মেটাতে নানা উপায়ে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। নতুন নতুন কূপ খনন করে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে গ্যাস আনার চিন্তা করা হচ্ছে।

সিএনজি স্টেশনগুলো প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি করে আট টাকা মার্জিন পায়। সেখানে ভোলার গ্যাস আনতে ইন্ট্রাকো পাচ্ছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার ব্যাখ্যা হচ্ছে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভোলা থেকে ঢাকা পর্যন্ত গ্যাস আনতে ২৩০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।

ভোলায় গ্যাস উৎপাদনের কাজটি করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। আর বাপেক্সের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ভোক্তাপর্যায়ে তা সরবরাহ করে সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। সুন্দরবনের কাছ থেকে কিনে নিয়ে শিল্পে গ্যাস সরবরাহের কাজটি করবে সিএনজি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো।

জনপ্রিয়