নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বেলাল হত্যার মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামিদের বাড়িছাড়া করে মাঠের ফসল লুটের চেষ্টা করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বড়াইগ্রাম প্রে ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কামরুল হাসান মোল্লা, মিজানুর রহমান, পায়েস মোল্লাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম বলেন, বেলাল হোসেনকে ভোরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হত্যা করে। নিহত বেলালের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম স্বার্থন্বেষী মহলের প্ররোচনায় স্থানীয় সম্পদশালীসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। অপর আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়। গ্রেফতার এড়াতে আসামিরা বাড়িছাড়া হলে বাদি পক্ষের লোকজন আসামিদের বাড়িতে থাকা মালামাল লুটপাট করে। এখন বাদী পক্ষ আবারও আসামিদের মাঠের উঠতি ফসল লুট করতে নানা মিথ্যা অপ-প্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তারা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছেন।
কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, হত্যা মামলায় যাদের স্বাক্ষী দেওয়া হয়েছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পুলিশ হত্যাকান্ডের কোন আলামত উদ্ধার করতে পারেনি। অথচ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে শুধু লুটপাটের লক্ষ্যে হয়রানি করতেই এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। আর কিছুদিন পরই মাঠের ফসল উঠানোর সময় হবে। এই ফসল আবার লুটপাট করার জন্য বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে এ ব্যাপারে নিহত কৃষক বেলালের ছেলে আনিসুর রহমান বলেন, আমরা কোনো বাড়ি-ঘর লুটপাট করিনি। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করছি। কোনোভাবেই সাধারণ বা নিরাপরাধী মানুষকে হয়রানি করা হবে না।