অপহৃত মিনারা বেগমের সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার চরকলমী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিনারা বেগমের সন্ধান চেয়ে ও অপহরণকারী জলিল মেম্বারের বিচারের দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় চরকলমী ইউনিয়নের বক্তিরহাট বাজারে মানবাধিকার সংস্থা ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অপহৃত মিনারা বেগম উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন চর কলমী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ হাকিমের মেয়ে। 
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৮ জানুয়ারি নিজ বসতবাড়ি থেকে জলিল মেম্বার অপহৃত মিনারাকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে মিনারা নিখোঁজ। এ বিষয়ে মিনারার পরিবার শশীভূষণ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে। সাধারণ ডায়েরী করার পর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় চরকলমী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জলিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মিনারার পরিবার ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও অপহৃত মিনারাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী। 
মিনারার বড় ভাই আবু জাফর বলেন, অপহৃত মিনারার বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে মিনারা তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসতঘর নির্মাণ ঘরে বসবাস করছিলো। চরকলমী ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ জলিল মিনারার ঘরে প্রায় সময় আসা-যাওয়া করতেন। এরই মাঝে জলিল মেম্বার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মিনারার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি মিনারার বসতবাড়ি থেকে জলিল মেম্বার মিনারাকে ডেকে নেয়ার পর থেকেই সে নিখোঁজ। 
এ বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা চরফ্যাসন উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সামসুদ্দিন হাওলাদার বলেন, আইনি সহায়তার পাওয়ার জন্য ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস্ অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন চরফ্যাসন শাখা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মিনারা বড় ভাই আবু জাফর। আমি ফোন রেকর্ড ও সাক্ষীর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। প্রশাসনের কাছে মিনারার সন্ধান ও দোষিদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।