
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ-ডাগ্গাতলী বেড়িবাঁধ সড়ক দীর্ঘ ২০ বছরেও সংস্কার হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১১ কিলোমিটার সড়কটির পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে এখন ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে হেঁটে চলাচল করাও দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ, পদ্দা বাজার, দাসপাড়া, বেড়ীর বাজার, ডাগ্গাতলী বাজার ও পৌরসভাসহ লামচর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বেড়িবাঁধের ১১ কিলোমিটারের এ সড়কের আঙ্গারপাড়া, টামটা, দাসপাড়া, বেড়ীর বাজার বেড়িবাঁধ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে। ফলে বাঁধটির কিছু কিছু অংশ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে এখন যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। মাঝে মধ্যে দু’একটি সাইকেল এবং মোটরসাইকেল চলাচল করে। তিন অথবা চারচাকার কোনো যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। কোনো কোনো স্থান পাঁয়ে হাটার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কের দু’পাশে বসবাসরত হাজার হাজার পরিবারের লোকজন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।
এদিকে এক শ্রেণির ভূমিদস্যু বেড়িবাঁধের দু’পাশ দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করে নামমাত্র মুল্যে ভাড়া দিয়ে বেড়িবাঁধের জায়গা গুলি দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৬নং লামচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ উল্ল্যা জিসান জানান, বেড়িবাঁধটি সংস্কারের জন্য এমপি মহোদয় আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলেছে ওই রাস্তায় প্রতি কিলোমিটারে দুই সাইড মাটি ভরাটের জন্য এক কোটি টাকা করে লাগবে। ওই হিসেবে পুরো ১১ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সম্প্রতি এলজিইডির ফান্ডে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এখনো বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, এ সড়কটি একসময়ে চাঁদপুরের অধীনে ছিল। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে রয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এ সড়কসহ অন্যান্য বেড়িবাঁধ সড়কের সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দের আবেদন করা হবে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুতই বেড়িবাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।