
বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে চিনির বাজার মূল্য ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি হলেও মাত্র ৭০ টাকা কেজি ধরে ১৪ টন ভারতীয় চিনি নিলামে বিক্রি করেছে নেত্রকোণা কাস্টমস অফিস। বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে চিনি বিক্রির কারণে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, চিনি নিলামের বিষয়ে কোনো প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়নি।
গত ১১ মে বৃহস্পতিবার সকালে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ নেত্রকোণা কার্যালয় সীমান্তে চোরাচালানে আটক ভারতীয় চিনি নিলামে বিক্রি করে। চোরাচালানের আটক ওই চিনি নিলাম পূর্ববতী প্রচার-প্রচারণা সম্পর্কিত তথ্য জানতে নিলামের দিন দুপুরে নেত্রকোণা কাস্টমস অফিসে উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য চাইলে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান। বলা হয় সব তথ্য সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল রানার কাছে এবং তিনি বাইরে আছেন। পরে সোহেল রানার মুঠোফোনে নিলামকৃত চিনির তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং সাংবাদিকদের তথ্য দিতে বাধ্য নয় বলেও জানান তিনি। এছাড়াও নেত্রকোণা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার এক বছরেও তথ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ রয়েছে।
তথ্য না দেওয়ার ব্যাপারে ডেপুটি কমিশনার মির্জা রাফেজা সুলতানা'র মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন উত্তর মেলেনি।
এদিকে নিলামে প্রাপ্ত চিনির মালিক সৈয়দ বজলুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ১৪ টন চিনি ৭০ টাকা কেজি দরে কেনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগের নিলামের চিনিও ধারাবাহিকভাবে তিনিই কিনে আসছেন বলে জানান। একই দিনে চিনি নিলামের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সুপারি নিলামে বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি।