
দেশের সবচেয়ে বড় তামাক পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি)-এর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার মাধ্যমে ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর)। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এনবিআর তার লার্জ ট্যাক্সপেয়ার্স ইউনিট (এলটিইউ-ভ্যাট) অফিসকে এই অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র জানায়, তথ্য গোপন করে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে বিএটিবি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর।
এই বিষয়ে গঠিত মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর, রাজস্ব কর্তৃপক্ষ গত ২১ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে তার লার্জ ট্যাক্সপেয়ার্স ইউনিটকে (এলটিইউ-ভ্যাট) অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়।
এলটিইউ-ভ্যাট অফিস সূত্র জানিয়েছে, এনবিআরের চিঠি পাওয়ার পর পরই এই অফিস থেকে বিএটিবিকে আলোচ্য অর্থ পরিশোধের চিঠি দেয়া হয়েছে। এলটিইউ-ভ্যাট অফিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের আলোচ্য রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি সামনে আসে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে।
ওই সময় ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় ভোগের বিষয়ে এনবিআরে প্রদত্ত তথ্য ও অডিটেড রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যে গড়মিল দেখতে পান। এর ভিত্তিতে হিসাব করে ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ তাদের হাতে আসে।
এরপর এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও বাইরের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে এনবিআরের ওই কমিটির প্রধান ড. মো. শদীদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, বিএটিবি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিমের সঙ্গেও মুঠোফোনে যোগযোগ স্থাপনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানিয়ে তার হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস পাঠিয়ে কমেন্ট চাওয়া হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।