
দেশে ছোলার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, আমদানির পাইপলাইনেও রয়েছে চাহিদার তুলনায় বেশি। তারপরও রোজা সামনে রেখে এইমধ্যে বেড়েছে ছোলার দাম। কয়েক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৭০ টাকা। বর্তমানে বাজারভেদে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এ পণ্যটি। এর কারণ হিসেবে চাহিদা বৃদ্ধি ও ডলারের দামের অজুহাত বড় ব্যবসায়ীদের। আর খুচরা বিক্রেতারা এজন্য দায়ী করছেন আমদানি আর মজুদের সিন্ডিকেটকে।
বছর জুড়েই ছোলার কদর থাকলেও রমজানে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর এর সুযোগ নিয়ে ছোলার দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে বছরে ছোলার চাহিদা ২ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার এক মাসেই প্রয়োজন হয় এক লাখ ২০ হাজার টন। বাংলাদেশ ব্যাংক কাস্টমস হাউসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছোলা আমদানি হয়েছে ৫৩ হাজার টন। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে।
চাহিদার তুলনায় ছোলার মুজদ ও সরবরাহ বেশি হলেও বেশি দাম নিয়ে অজুহাতের শেষ নেই ব্যবসায়ীদের।
তবে পাইকারদের যুক্তি নাকচ করে ছোলার দাম বাড়ার জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করলেন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে আমদানি করা ছোলার প্রায় ৯৯ শতাংশই আনা হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে। বর্তমান বাজার দর বলছে, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি টন ছোলার দাম ৫৮০ ডলার। অর্থাৎ প্রতি কেজি ছোলা কিনতে হয় ৬২ টাকা করে।