
বাজেটে ২ লাখ ৬০ হাজার কোটির ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাতে ঋণের লক্ষ্য ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের লক্ষ্য বাড়লেও কমেছে সঞ্চয়পত্র খাতে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আর উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা মেটাতে ঋণের চাপ বাড়ছে। অর্থনীতিবিদদের মত, রাজস্ব আদায় কম হলে ব্যাংক ঋণ আরও বাড়বে। ব্যাংকারদের আশঙ্কা এতে বেসরকারিখাতে ঋণ ছাড় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
গত কয়েক অর্থবছরের বাজেটে পর্যালোচনায় দেখা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে রাখা বরাদ্দের প্রায় সমপরিমাণ ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে। আগামী অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৫ লাখ কোটি আর বাকি অর্থের ঘাটতি মেটানো হবে ঋণ থেকে। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী বাজেটে ঋণ বাড়ছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। মোট বাজেট ঘাটতি ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ১ লাখ কোটির বিদেশি ঋণ, ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটির স্থানীয় ব্যাংক ঋণ এবং ২৪ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিতে চায়। আইএমএফের নির্দেশনায় সুদ ব্যয় কমাতে সঞ্চয়পত্রে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এতে বাড়তে পারে ঋণ নির্ভরতা।
অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলতি অর্থবছর ব্যাংক খাতে ঋণের লক্ষ্য ধরা হয় ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। ১০ মাসে সরকারের ঋণ ছাড়িয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে আমানতের হার কমেছে, তাই সরকারি ঋণের চাপ আরও বাড়লে তারল্যে ঘাটতি হবে বলে মত ব্যাংকারদের।