ঢাকা রোববার, ১১ মে ২০২৫ , ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

‘মিসেস চ্যাটার্জি’র বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্বামীর

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১১, ২৩ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২০:১৫, ২৩ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

‘মিসেস চ্যাটার্জি’র বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্বামীর

পর্দার গল্প এ বার বাস্তবেও। দেশে-বিদেশে বক্স অফিসে সাফল্যের উড়ান ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’র। সন্তানদের অধিকার ফিরে পেতে নরওয়ে প্রশাসনের সঙ্গে একলা মায়ের লড়াইয়ের কাহিনি যখন মন ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকের, বিতর্কে বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে রানি মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অভিনয় প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র। সেই আবহে বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ সাগরিকা চক্রবর্তীর নামে গুরুতর অভিযোগ আনলেন তাঁর স্বামী অনুরূপ ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, বাস্তবের কাহিনি ভিন্ন। ছবিতে দেখানো হয়েছে, মিসেস চ্যাটার্জির উপর নির্যাতন করত তার স্বামী। রীতিমতো গার্হস্থ্য হিংসার শিকার সে। সাগরিকার স্বামী অনুরূপের অভিযোগ কী? তিনি জানান, দেড় বছর ভারতে ছিলেন সাগরিকা। নরওয়েতে ফেরার ইচ্ছে ছিল না তাঁর। অনেক অনুনয়-বিনয় করে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, অনুরূপ শুনেছিলেন, আমরি হাসপাতালে কাজ করার সময় ওখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাগরিকা।

নরওয়েতে কেমন ছিল তাঁদের সম্পর্ক? অনুরূপ বলেন, “বিরাট নামে একজন অপরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে সাগরিকা দিন তিনেক ছিল বলে জানি। বিরাট আমার পরিচিত নয়। সন্তানদের ফিরে পেতে বিরাট সাহায্য করেছিল সাগরিকাকে।” অনুরূপ জানালেন, সন্তানদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন, কিন্তু ভারতে এলে গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা তাঁর। বললেন, “সব সময় ওদের মঙ্গল চাই। চাই, ভাল হোক ওদের।” এখন নরওয়ের নাগরিক অনুরূপের দাবি, সেই দেশের আইন অনুযায়ী তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, ভারতীয় আইন অনুযায়ী তাঁরা আলাদা হননি। কিন্তু অনুরূপের এ সব দাবি নস্যাৎ করে দিলেন সাগরিকা।

বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ জানান, এই গল্প তাঁর একার। একাই লড়েছেন তিনি। স্বামী হিসাবে কোনও দায়দায়িত্ব অনুরূপ নেননি। তাঁর সাফ কথা, “আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে বললেই হল? কাগজপত্র দেখাক তো। ছেলেমেয়ের জন্য এক পয়সাও পাঠায় না। এত বছরে এক দিনও ফোন করেনি।” সাগরিকার দাবি, সিনেমায় এখন সত্যিটা প্রকাশ্যে এসেছে বলে এ সব বলছেন তাঁর স্বামী। অনুরূপের কথার প্রতিবাদ করে সাগরিকার মা শিখা চক্রবর্তীও মেয়ের পক্ষ নিলেন। জানালেন, তাঁর মেয়ে বিয়ের আগে চাকরি করতেন বেসরকারি হাসপাতালে। এখন অনুরূপের কথার কোনও মানে খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর দাবি, “আমার মেয়েটা বেঁচে গিয়েছে।”

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা 

জনপ্রিয়