ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

জিয়া ২৫ মার্চের একজন আক্রমণকারী 

জাতীয়

বিডিনিউজ

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৮ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

জিয়া ২৫ মার্চের একজন আক্রমণকারী 

একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেই ‘আক্রমণকারীদের একজন’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন এখানে (ঢাকায়) গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা জাতির পিতা আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যারিকেড দিচ্ছিল, তাদের উপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিলো জিয়াউর রহমান। সেই সময় যারা ব্যারিকেড দিয়েছে, জিয়াউর রহমানও তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, সোয়াত জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ২৫ মার্চে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যে আক্রমণ চালায়, সেই আক্রমণকারী একজন কিন্তু জিয়াউর রহমান।

গতকাল বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আজকের যে দলটি বড় বড় কথা বলে যে ‘২৫শে মার্চ আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেছে’। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করল, শুধু যুদ্ধ পরিচালনা নয়, সশস্ত্র বাহিনীর গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়। এক একটা সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ….

সেক্টরে যিনি দায়িত্ব ছিলেন, তিনি আহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পায়, জিয়াউর রহমান একটা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল জিয়াউর রহমান। এই কথা নিশ্চয়ই তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুললে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান ছিলো একজন মেজর।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়ারজন্ম কলকাতায়। ভারত-পাকিস্তান বিভক্ত হয়, তখন তারা কিন্তু পূর্ব বাংলায় আসেনি, তারা করাচিতে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেখানে পড়াশোনা করে। সেখানেই আর্মিতে যোগ দেয়৷ সেখান থেকে কার্যাদেশ করে সামরিক অফিসার হিসাবে পূর্ব বাংলায় এসেছিল দায়িত্ব পালন করতে। এটাই হল বাস্তবতা। কিন্তু তার মনে তো পাকিস্তানটাই রয়ে গেছে। তার প্রমাণও আছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হল, এই প্রমোশনগুলা একে একে কে দিয়েছে?  এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো মেজরের বাঁশির ফুঁকে এদেশ স্বাধীন হয়নি। জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিলো বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। 

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয় দেশে। মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করেই ক্ষমতা দখল করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আর ক্ষমতা দখলকারীদের দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অনেক দেশ সহায়তা করলেও বড় কিছু দেশ বিরোধিতা করেছিলো। স্বাধীনতার পর অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সব পরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার মধ্যে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিলো বলেই স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

৭৪ এর দুর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পর ৭৪ এ যে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন খাদ্যসচিব ছিল মঈন খানের বাবা মোমিন খান। সে ছিল খাদ্য সচিব। জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে খাবার আসতে দেয়নি বাংলাদেশে, দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। দুর্ভিক্ষ কিন্তু বাংলাদেশে ছিলো। আমি ৮১ খ্রিষ্টাব্দে দেশে আসি সারা বাংলাদেশ ঘুরি, তখন প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন তারা করতে পারেনি। কারণ তারা আমাদের বিজয় নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো। যার কারণে জাতির পিতাকে হত্যা করলো। এরপর ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যা করলো, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপরে দল গঠন। আজকে রাজনৈতিক দল করে অনেক বড় বড় কথা বলে।
ভারতীয় পণ্য বর্জন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এখন বলব বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা ছাড়া তারা খেতে পারবে কি না এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই। আমি জানি, ঈদের আগে বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত। 

জনপ্রিয়