ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

তিস্তার বাঁধ ভাঙলো ভারতে, বাংলাদেশে নদীপাড়ে রেড এলার্ট-মাইকিং

আন্তর্জাতিক

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ৪ অক্টোবর ২০২৩

সর্বশেষ

তিস্তার বাঁধ ভাঙলো ভারতে, বাংলাদেশে নদীপাড়ে রেড এলার্ট-মাইকিং

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ভারী ঢল ধেয়ে আসছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এতে আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ও সার্বিক প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। 

নদীপাড়ে রেডএলার্ট জারি করে মাইকিং করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় তিস্তা অববাহিকায় সর্তকতা জারি করে মাইকিং করা হয়েছে। সেই সাথে চর ও নদীপাড়ের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি । 
পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জল কপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা চরের নিম্নাঞ্চলের মানুষ আরেকবার বন্যার আশঙ্কা করছেন।
বুধবার বিকাল তিনটায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার  তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার দশমিক ৭ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল  ৯টা থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (CWC) এর তথ্যানুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে।
তিস্তার বাম ও ডান তীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে মৌসুমি ফসলসহ ক্ষেত ক্ষামারের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে ও প্রস্তুতি নিতেও বলা হচ্ছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করতে বলেছি। আমি সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছ। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের পশুপাখিসহ প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দেবে। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।

জনপ্রিয়