
বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত মুসলিম জনগোষ্ঠী ফিলিস্তিনিরা কীভাবে করেন সিয়াম সাধনা? ইসরায়েলি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও আল-আকসা প্রাঙ্গণে তারা করছেন ইফতার। শুধু তাই নয়, দমন-পীড়নকে পাশ কাটিয়ে রমজানের আনন্দে মেতে উঠেছেন মুসলিমরা।
পবিত্র নগরী জেরুজালেমের রাস্তায় ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের তালে-তালে স্বাগত জানানো হয় মাহে রমজানকে। নবীন থেকে প্রবীণ সবাই অংশ নেন এ শোভাযাত্রায়।
দখলদার ইহুদিদের হুমকি-রক্তচক্ষু রয়েছে, তাতে কী? সেসব উপেক্ষা করেই মূল চত্বরে ওড়ানো হয় রঙিন বেলুন। পোড়ানো হয় আতশবাজি। সংঘাতপূর্ণ ভূখণ্ডে ছড়িয়ে দেয়া হয় সম্প্রীতির বার্তা। দিনভর সংযম পালন শেষে, অনেকেই জড়ো হন প্রাণকেন্দ্র আল আকসায়। মসজিদ প্রাঙ্গণে পরিবার-প্রিয়জনের সাথে সারেন ইফতার।
আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভের আশায় গেলো ১০ বছর যাবৎ আল-আকসায় প্রতি রমজানে ইফতার দেই। বিনিময়ে কারো কৃতজ্ঞতা আশা করি না। শুধু চাই, মুসলিমরা তাদের প্রাণপ্রিয় স্থানে আসুক, ইবাদত করুন।
আল আকসায় আগত এক ফিলিস্তিনি বলেন, বাড়িতেই প্রথম ইফতার করা হয়। কিন্তু এবার পরিবারের সবাই আল-আকসা মসজিদে এসেছি। এখানেই পড়বো তারাবিহ্।
চলতি বছর, রমজান মাসে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডে। একইসাথে রয়েছে ইহুদিদের ‘পাস ওভার’। যার সবগুলোর সাথেই একটি নাম জড়িত আল আকসা। পবিত্র স্থানটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত এড়াতে তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: খবর এপির