দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাশনে উৎপাদিত তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ভোলার উর্বরা পলিমাটির কারণে তরমুজ চাষে শীর্ষে চরফ্যাশন উপজেলা। এ তবে ভোলা জেলার তরমুজের চাহিদা দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গভীর উর্বরতাযুক্ত মাটি ও উত্তম নিষ্কাশন সম্পন্ন জমিতে তরমুজ ভালো জন্মায়। এটি যখন বেলে মাটি বা বালিযুক্ত দোআঁশ মাটিতে জন্মায় তখন তা উৎপাদনের পক্ষে খুব ভালো হয়।
ভোলা জেলার সাত উপজেলার মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর ভূমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে এবং এছাড়া অন্য ৬ উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনকূলে থাকলে জেলায় তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। তরমুজ চাষিদের আশা নিরাশা দোলা
প্রকৃতি প্রতিকূল থাকলে সমূহ বিপদ ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আর প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে অর্থনৈতিকভাবে অধিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোলা বরিশাল-ঢাকা চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোলার তরমুজের চালান যায়। আর গত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা তরমুজের দাম ভালো পাওয়ায় অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।দুইদিনের বৃষ্টিপাতের কারনে তরমুজের তেমন ক্ষতি হয়নি।
চর মনোহর, চরকলমি, আবদুল্লাহপুর, আমিনাবাদ ও ওসমানগঞ্জের বেশ কয়েকটি তরমুজ খেত ঘুরে দেখা গেছে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও মাঠে এখন পর্যন্ত তরমুজের অবস্থা বেশ ভালো।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে ভোলার চরফ্যাশনের তরমুজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।উর্বর পলিমাটিতে তরমুজের ফলন সবচেয়ে ভালো হয়। উচ্চফলনশীল এই তরমুজ অনেক সুস্বাদু। দেশ-বিদেশে ভোলার তরমুজের চাহিদা শীর্ষে। তরমুজ আবাদে এখন পর্যন্ত দেশের মধ্যে শীর্ষে ভোলা। জেলার চরফ্যাশনে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছেন, তরমুজের মৌসুম এখনও আসেনি। রমজানে ভালো লাভের আশায় কিছু ব্যবসায়ী ও কৃষক তরমুজ বিক্রি করছেন। ভরা মৌসুম শুরু হলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে চলে আসবে তরমুজ বিক্রি।
চরফ্যাশনউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নওরীন হক বলেন, ভোলা থেকে লঞ্চ,ট্রলার ও ট্রাকে করে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মেট্রিকটন তরমুজ যাচ্ছে ঢাকা- চট্টগ্রাম - যশোর কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। মৌসূমে তরমুজ বিক্রি করে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আয় হবে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।