
টেক্সটাইল খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার। মিনিমাম ওয়েজ বোর্ডসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ খাতের শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ হতে যাচ্ছে, যা পোশাক খাতের শ্রমিকদের চেয়ে আড়াই হাজার টাকা কম। শ্রমিক নেতারা এই মজুরিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে দিয়ে বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও বাজারদর বিবেচনায় মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। যদিও এ খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, আগের চেয়ে অনেকটাই বাড়ানো হচ্ছে মজুরি।
প্রস্তাবিত মজুরির সপক্ষে যুক্তি দিয়ে টেক্সটাইল উদ্যোক্তারা বলছেন, পোশাক খাতে যেখানে ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়ানো হয়েছে, সেখানে টেক্সটাইল খাতে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে ৭৫ শতাংশ। এছাড়া টেক্সটাইল খাতের শ্রমিকদের কাজ পোশাক খাতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত হালকা বলেও দাবি করেন তারা।
মিনিমাম ওয়েজ বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টেক্সটাইল খাতের শ্রমিকদের মিনিমাম ওয়েজের ড্রাফট চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগিরিই এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।' প্রস্তাবিত মজুরি বর্তমান বাস্তবতায় কতটা যৌক্তিক—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারখানা মালিক ও শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিদের সম্মতির ভিত্তিতেই সর্বনিম্ন এ মজুরি ঠিক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, স্পিনিং, উইভিং, ডায়িং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিংসহ সংগঠনটির সদস্যভুক্ত কারখানা ১ হাজার ৭৮০টি।
বিটিএমএর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনসুর আহমেদ বলেন, এসব কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা ৫ লাখের মত হবে। এছাড়া সদস্যবহির্ভূত কারখানা হিসাব করলে শ্রমিক সংখ্যা ৮ লাখের বেশি হবে বলে জানান তিনি। তবে তিনি বিটিএমএর সদস্যবহির্ভূত কারখানার সংখ্যা জানাতে পারেননি।