খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চালের দাম আর না বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার একমাস না যেতেই কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের চাল ব্যবসায়ীরা। ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় বারবার সুযোগ নিচ্ছেন তারা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দেন বাজারে আর বাড়বে না চালের দাম। অথচ এক মাস না যেতেই কেজিতে দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা।
দিনাজপুরের বাজারে স্বর্ণা চাল ৪৭ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, আটাশ ৫৭ থেকে ৬০ এবং মিনিকেট ৬৫ থেকে বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এর মাঝে আবার চালের দাম বেড়েছে বলে সংসার চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। চালের বাজারে স্থিতিশীল রাখতে সরকারের আরো নজর দেয়া উচিত।
চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে ধান সংকটকেই সামনে আনছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ নেই ব্যবসায়ীদের কাছে। এ জন্য দুর্বল বাজার ব্যবস্থা, সরকারি নজরদারির অভাবকে দায়ী করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, কৃষকদের ধানের দাম নিশ্চিত করা সেই সঙ্গে চালের দাম সহনশীল রাখতে চায় খাদ্য মন্ত্রণালয়। দিনাজপুরের চালের দাম নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। খাদ্য মন্ত্রীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে সেটি মনিটরিং করতে হবে।
দিনাজপুরে অটোরাইস মিল আছে ১৯৪টি, হাসকিং মিল ১১ শ। এসব মিল থেকে চাল উৎপাদন হয় ১৪ লাখ টনের বেশি।