৩৩টি শিল্প খাতের কর অবকাশ আগামী বছরের মধ্যে তুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এসব শিল্প খাত ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন হারে কর অবকাশসুবিধা পেয়ে আসছে। আইএমএফের শর্তে এখন কর অবকাশসুবিধা কোন কোন খাত থেকে তুলে দেয়া যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঋণের তৃতীয় কিস্তি অর্থ ছাড়ের আগে অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ঢাকা সফরে রয়েছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল। রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ও এ খাতের শর্ত পরিপালনের অগ্রগতি জানতে এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিধিদলটির একাধিক বৈঠকের কথা রয়েছে। এর আগে গত মাসে আইএমএফের একটি কারিগরি দল এনবিআরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। সেখানে কর অবকাশসুবিধা তুলে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এবারের সফররত আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি এসব পরামর্শ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে বলে জানা গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করবে আইএমএফ।
উল্লেখ্য, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এরই মধ্যে ঋণের দুটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ।
আইএমএফ বলছে, আয়কর আইনে বলা হয়েছে, উৎপাদন খাতের কর অবকাশসুবিধা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জুনে শেষ হয়ে যাবে। আইন অনুযায়ী, এই মেয়াদ শেষের পর আর যেনো নবায়ন করা না হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।
এনবিআর এর একাধিক কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবছর বিশাল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেয়া হয় এনবিআরকে। আবার রাজস্ব বাড়ানোর আইএমএফের চাপও যুক্ত হয়েছে। এসব কারণে বিনিয়োগ কম হয়েছে বা সম্ভাবনা কম, এমন কিছু খাতের কর অবকাশসুবিধা তুলে দেয়া হতে পারে।