
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধার মুখে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কালে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ ৫ জন শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সহকারী সচিব শাব্বীর আহমদ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।'
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘সরকারের এ কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত। হামলার ঘটনায় পুলিশের বিচার করতে হবে।’
আরো পড়ুন:
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার উদ্দেশে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
আহত শতাধিক, জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের টিয়ারগ্যাস লাঠিচার্জ
এ সময় শিক্ষার্থী, ‘জেগেছে রে জেগেছে, জবিয়ানরা জেগেছে’, ‘আমার ভাই অনাহারে, যমুনা কি করে?, ‘এসেছি যমুনায়, যাব না খালি হাতে’, ‘আমার ভাই আহত কেন, জবাব চাই’ এসব শ্লোগান দেন।
আরো পড়ুন : জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চে টিয়ারগ্যাস-সাউণ্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
বিকেল ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। এর আগে সকাল ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। লংমার্চ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।