
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রেজাউল করিম (১৯) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রেজাউল সদর ইউনিয়নের বারদোনা ছৈয়দ ইব্রাহিম (র.) হেফজখানা ও ইছমাঈলিয়া এতিমখানার শিক্ষক। সে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর আমিরাবাদ জলিলনগর (নজু মিয়ার পাড়া) এলাকার মোহাম্মদুল হকের ছেলে।
ভুক্তভোগী শিশুটি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এ ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে মাদ্রাসাটি তালাবদ্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালক ও অন্যান্য শিক্ষকরা।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দুই বছর আগে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা ছৈয়দ ইব্রাহিম (র.) হেফজখানা ও ইছমাঈলিয়া এতিমখানায় হেফজ শেখার জন্য ভর্তি করা হয়। ভর্তির বছর খানেক পর থেকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রেজাউল করিম শিশুটিকে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে দিনের পর দিন ধর্ষণ করছিল। বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখালে শিশুটি নীরব থাকে। অনেক সময় রাজি না হলে শিশুটিকে মারধর করা হতো। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শিশুটি বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে।
শিশুটির মা বলেন, ‘ছেলে মাদ্রাসা থেকে ঘরে এসে জানায়, সে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তার সারা শরীর ব্যাথা। ব্যাথার কারণ জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে সে চুপ থাকে, পরে বাধ্য করলে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। ওইদিন রাতেই বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার পরিচালক বেলাল মৌলভীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, অভিযোগটি শনিবার মধ্য রাতে মামলায় রূপান্তর করা হয়। গ্রেপ্তার রেজাউলের কয়েকজন আত্মীয়কে আটক এবং প্রযুক্তির সাহায্যে রাতে বারদোনা এলাকা থেকে তাকে (রেজাউল) গ্রেপ্তার করা হয়।