
জামালপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চার স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দুপুরে শহরের পৌর এলাকার বগাবাইদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুকন ও তার সহোদর শেখ মোতালেবকে আটক করেছে। জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে বগাবাঈদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান তার সহপাঠীদের নিয়ে পাশের এলাকার মনিরাজপুর খেজুরতলা মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। এ সময় পৌর কৃষক লীগ নেতা শেখ রুকনের ছেলে বুলবুল তার ৫/৬ জন বন্ধুসহ তাদের ওপর হামলা চালায়। সে সময় স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে দেয়। পরে রায়হান তার বন্ধুদের নিয়ে বগাবাঈদ এলাকার আজাদ সরকারি বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে কৃষক লীগের নেতার ভাই শেখ মোতালেবের নেতৃত্বে রায়হান, যোবায়ের, রাহাত ও লিমনকে অটোরিকশায় তুলে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের আজাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। খবর পেয়ে নির্যাতিত স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে জামালপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে শেখ মোহাম্মদ রুকন এবং তার সহোদর শেখ মোতালেবকে আটক করে।
জামালপুর জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘গাছের সঙ্গে বেঁধে শিশুদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন ও বেদম প্রহার করা হয়েছে, এটা শিশু নির্যাতন আইন এবং শিশুরক্ষা নীতিমালা এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের পরিপন্থী । এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন ঘটনা কেউ নেতার কাছ থেকে প্রত্যাশা করে না। আমরা এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
ৎওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ৯৯৯-এ খরর পেয়ে বগাবাঈদ এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার কিশোরকে উদ্ধার করে। দুই জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।