
জামালপুরের ইসলামপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ক্যাম্পাসে মিললো গাঁজার গাছ। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে মাদকদ্রব্য সেবনের সরঞ্জাম। গত শুক্রবার রাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ২১৪ নম্বর কক্ষ থেকে গাঁজার গাছসহ ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম ও মদের বোতল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা পালিয়ে গেলে কাউকে আটক করা যায়নি।
অভিযুক্তরা হলেন- শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ। তিনি ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও ইসলামপুর উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিয়ার ভাগিনা। এছাড়া রায়হান কলেজটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও পৌরসভা ছাত্রলীগে ৭ নং ওয়ার্ডের সভাপতি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রিফাত আহমেদ ও রায়হান নামে দুই শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটিতে মাদকের রাজ্য তৈরি করেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করাসহ হত্যার হুমকিও দিতেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন সময় রিফাত আহমেদ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। কলেজের ২১৪ নম্বর রুমে একটি গাঁজা গাছ রোপণ করে রিফাত ও আরেক ছাত্রলীগ নেতা রায়হান৷ এছাড়া ওই রুমটিতে গিয়ে তারা অনেকবার ইয়াবা সেবন ও মদপানসহ নানা অপকর্ম করেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। তাদের এই অপকর্ম সহ্য না করতে পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে গাঁজার গাছ, মদের বোতল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর আগেই রিফাত ও রায়হান তাদের সন্ত্রাসীদের নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার শাহ বলেন, গতকাল দু’পক্ষ ছাত্রের ভেতরে মারামারি হয়। পরে পুলিশ আসে পরিস্থিতি সামাল দিতে৷ কিন্তু পুলিশ আসার পর একটি রুমে টপের ভেতর একটি গাছের চারা পাওয়া গেছে৷ আমরা সন্দেহ করছি এটি গাঁজা গাছের চারা হবে৷ ক্যাম্পাসে দু’একজন থাকতে পারে যারা এডিক্টেট হবে হয়তো৷ এগুলো পুলিশ জব্দ করে নিয়ে যায়৷ আমরা এই ঘটনাটির জন্য একটি তদন্ত কমিটি করেছি এবং গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি৷ যারা এই ঘটনায় সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ইসলামপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা একটি ঝামেলার কথা শুনে কলেজটিতে যাই৷ সেখানে গিয়ে এসব মাদকদ্রব্য সেবনে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি৷ ওই ক্যাম্পাস এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ৷