ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপমুক্ত থাকবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১৯ মে ২০২৫

সর্বশেষ

কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপমুক্ত থাকবেন যেভাবে

কর্মজীবীদের দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত হয় কর্মক্ষেত্রে। আর সেই কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ তো থাকেই। সেটা হতে পারে সহনীয় পর্যায়ের কিংবা তার চেয়েও বেশি। অতিরিক্ত কাজের চাপে কর্মী হতাশ হতে পারেন। কাজের গতিও কমে যেতে পারে।

অতিরিক্ত কাজের চাপ ব্যক্তির শরীর ও মনে প্রভাব ফেলে থাকে। তাই আসুন জেনে নিই কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপমুক্ত থাকবেন যেভাবে-

১. অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিদিনের টু-ডু লিস্ট তৈরি করুন

কর্মক্ষেত্রের যাবতীয় কাজকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করুন। ডেডলাইনের দিকে খেয়াল রেখে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করুন। কাজ সহজ করার জন্য আপনার ফোনে ব্যবহার করতে পারেন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ বা টু-ডু লিস্ট টুল।

২. অফিসের কাজ অফিসেই সারা

কাজ জমিয়ে রাখবেন না। এতে অতিরিক্ত কাজের চাপই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে। চেষ্টা করুন যেদিনের কাজ সেদিনই সেরে ফেলতে। কাজ নিয়ে বাড়ি ফেরাও বন্ধ করুন। বাড়ির সময়টুকু বাড়িতে দিন। অফিসের কাজ বাড়িতে না নেওয়াই ভালো। তরতাজা থাকতে পরিবারের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর বিকল্প নেই।

৩. মেডিটেশন

মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মনকে শান্ত করে। বিভিন্ন ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম করুন। এতে সহজেই আপনি কর্মক্ষেত্রে যেকেনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবেন।

৪. মাল্টিটাসকিং পরিহার

প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখুন। অন্যথায়ে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ আপনার কাজের প্রোডাক্টটিভি কমিয়ে মানসিক চাপ বাড়াবে।

৫. কাজের মাঝে বিরতি

অফিসে অনেকক্ষণ কাজ করার ফলে কাজে সহজেই একঘেয়েমি চলে আসে। এজন্য কাজের ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নিন যা আপনার মনকে প্রফুল্ল রাখবে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটিতে চেষ্টা করুন পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঘুরতে, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে।

৬. একটানা কাজ না করা

অফিসে ঢুকেই কম্পিউটারে মুখ গুঁজে বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝে কাজ থেকে বিরতি নেওয়া জরুরি। একটানা কাজ করলে বিরক্তি আসবেই। তাই মাঝেমধ্যে কাজ থেকে পাঁচ-দশ মিনিটের জন্য বিরতি নিন। এই সময়ে নিজের পছন্দের গান শুনে নিতে পারেন। মাঝে মাঝে উঠে মিনিট পাঁচেক হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি এক ঘণ্টায় এভাবে বিরতি নিলে উপকার মিলবে। চাইলে অফিসের নিচে থেকে একটু হেঁটে আসতে পারেন। এতে মন ভালো থাকবে আর পিঠ ও কোমরব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে।

৭. সহকর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন

কর্মক্ষেত্রে সকলের কাজের ধরন আলাদা হয়। দলগত কাজে মতের অমিল হওয়া স্বাভাবিক। এতে যেকোনো ধরনের কাজে সাহায্য নিতে বা মত প্রকাশে দ্বিধা না করে খোলামেলা আলোচনা করুন। এতে মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় এবং লক্ষ্য অর্জনে বাড়তি চাপ নিতে হয় না। সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হয়।

৮. দুপুরে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ

দুপুরে এমন খাবার খান, যাতে পেটও ভরবে আবার শক্তিও পাওয়া যাবে। পানিবহুল ফল ও সবজি খেতে পারেন। এগুলো গরমের সময় শরীর তরতাজা রাখবে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ভেষজ চা থাকতে পারে স্ন্যাকস টাইমে। আর এসবের পাশাপাশি সারা দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করছেন কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান শরীর শীতল রাখে এবং শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে সহজে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন না।

জনপ্রিয়