
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা অতীতের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে দুরভিসন্ধি ও উসকানিমূলক আখ্যা দিয়ে এসব বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত দিনে দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতেও সেই ধারাবাহিকতায় পবিত্র সংবিধানের বিধান অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অপশক্তিই এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে সারা দেশে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিবরণ তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিজ দেশের মানুষের ওপর এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করতে পারে! বিএনপির কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছিলো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে বিএনপির নেতা দুর্নীতির বরপুত্র, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান লন্ডনে বসে রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্যে মেতে উঠেছিলেন। ৩০০ আসনে প্রায় ৭৫০ মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কখনো জনকল্যাণ, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতি করেনি। সেজন্য বিএনপির রাজনীতি বিদেশি প্রভুদের কৃপা নির্ভর! জনগণ, গণতন্ত্র এবং কল্যাণকর রাজনীতির প্রতি বিএনপির ন্যূনতম বিশ্বাস থাকলে এদেশের গণতন্ত্রে কোনো সংকট সৃষ্টি হতো না।
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রাকে সুমন্নত রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।