ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ৩ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

আমেরিকা মেরেধরে দমন করেছে আমরা দাবি মেনে নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০০, ২ আগস্ট ২০২৪

সর্বশেষ

আমেরিকা মেরেধরে দমন করেছে আমরা দাবি মেনে নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষক লীগ (বিকেএল) এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯-এর ১৮ ধারায় নিষিদ্ধ করা হবে। পরে সে অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়। 

এছাড়াও এ সময় প্রতিটি সহিংসতার ঘটনা তদন্তে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য জাতিসংঘকে সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার সাম্প্রতিক সহিংসতায় ছয়জনের মৃত্যুর তদন্তের জন্য এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। পরে কমিশন গঠনের পর বিপুল সংখ্যক ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় এর পরিধি সম্প্রসারণ করে তিনজন সদস্য করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যদি কোনো দেশ চায়, তারা বিশেষজ্ঞও পাঠাতে পারে। আমি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের নির্মিত সম্পত্তি ধ্বংস করে দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আমরা আর সহ্য করবো না।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী প্রমুখ। 

বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন ধ্বংসস্তুপে রূপ নেয়ার আগে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ করেছে। তারা মিছিল করে যেখানে যেতে চেয়েছে, তাদের সেখানে যেতে দিয়েছে। আমি নিজেও আইনশৃংখলা বাহিনীকে তাদের নিরাপত্তার জন্য বলেছি। 

তিনি আমেরিকায় সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলের আগ্রসনের প্রতিবাদরত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ওপর সরকারি সংস্থার হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমেরিকায় যেভাবে মেরে ধরে, শিক্ষকদের রাস্তার ওপর ফেলে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে হার্ড লাইনে গিয়ে আন্দোলন দমন করেছিলো, আমাদের সরকার সে পথে যায়নি এবং শক্তিও প্রয়োগ করেনি। বরং তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী মিথ্যা অপপ্রচার সমানে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি ক্ষমতায় থেকে মানুষের জীবন নেব, সেটা তো কখনো হতে পারে না। আমি তো নিজেই সবকিছু হারিয়েছি এবং গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা ও সরাসরি গুলি করে বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। তারপরেও আমি সাহস নিয়ে কাজ করে গেছি। 

তিনি বলেন, আমি বলতাম টাইম ইজ টু শর্ট। কেনোনা যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময়ে ঘাতক আমাকে আঘাত করতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ শ্বাস ততোক্ষণ আশ, আমি মানুষের জন্য কাজ করবো।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি সেটা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ঘটনা ঘটিয়ে আজকে সেই মান সম্মান সব নষ্ট করা হচ্ছে। এটার বিচার আমি জনগণের কাছেই দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এটা কোটা আন্দোলনের নাম দিয়ে এইভাবে একটা নাশকতা ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা! যেজন্য ১৭ তারিখ টেলিভিশন ভাষণে সবাইকে সতর্ক করেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শিক্ষক ও অভিাবকদের বলেছিলাম, আপনাদের সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, আপনারা সন্তানদেরকে বের হতে দিয়েন না। কারণ, আমিতো জানি এদেশে জঙ্গিবাদী বা সন্ত্রাসিগোষ্ঠী কতোদূর কী করতে পারে। 
 

জনপ্রিয়