
কোভিড-১৯ মহামারি শিশুর দারিদ্র অবসানের লড়াইয়ে ব্যাপক মন্থরতা সৃষ্টি করেছে। এর ফলে বিশ্বের ৩৩ কোটি ৩০ লাখ শিশু এখনো চরম দারিদ্রের মধ্যে বাস করছে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত ইউনিসেফের একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মহামারিটি পূর্বের পূর্বাভাসের চেয়ে ৩ কোটি কম শিশুকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তির দিকে পরিচালিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফলস্বরূপ প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন শিশু এখনো প্রতিদিন ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম আয়সীমায় বাস করে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোভিড-১৯ সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক ধাক্কার প্রভাব থেকে অগ্রগতি স্থগিত করেছে এবং লাখ লাখ শিশুকে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
প্রতিবেদনের ফলাফল ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে চরম শিশু দারিদ্র্য নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের কাজগুলোতে বড় ধরনের আঘাত করেছে।
বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য ও সমতা বিষয়ক গ্লোবাল ডিরেক্টর লুইস-ফেলিপ লোপেজ-কালভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি বিশ্ব যেখানে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ শিশু চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে, তারা শুধু মৌলিক চাহিদাই নয় বরং মর্যাদা, সুযোগ বা আশা থেকেও বঞ্চিত।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাব-সাহারান আফ্রিকার ৪০ শতাংশ শিশু এখনও চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে এই হার সর্বোচ্চ।
দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কোভিড-১৯ ও জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয়সহ বেশ কয়েকটি কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাব-সাহারান আফ্রিকায় চরম শিশু দারিদ্র্যকে বাড়িয়ে তুলেছে, এমনকি বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে স্থিরভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও ইউনিসেফ দেশগুলোকে শিশু দারিদ্র্য মোকাবেলায় অগ্রাধিকার দিতে এবং সার্বজনীন শিশু সুবিধা কর্মসূচির সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।