ঢাকা শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ , ৭ চৈত্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অ*গ্নিকাণ্ড

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ১ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ২৩:০৬, ১ মার্চ ২০২৪

সর্বশেষ

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অ*গ্নিকাণ্ড

কর্তৃপক্ষের অবহেলায় একের পর এক অগ্নিদুর্ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে আমরা এখনো অন্ধকার যুগে বসবাস করছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না। নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন জীবন দিয়েছিলেন। তারপর কী হয়েছিলো? টনক কী নড়েছিলো? নড়েনি।

শুক্রবার বিকেলে নিউ বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এখানে রেস্টুরেন্টে পার্টি হচ্ছিলো। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ২০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিয়েছিলো। যে কারণে মানুষের সংখ্যা ছিলো অনেক বেশি। কিন্তু তারা আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারলেন না।

তিনি বলেন, এতোগুলো মানুষ এখানে মারা গেছে, তাদের কী অপরাধ ছিলো? এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না। আমরা বারবার একই ঘটনা দেখতে পাচ্ছি, এরপর কিছুদিন উত্তপ্ত থাকে, তারপর আবার আগের মতো হয়ে যায়।

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবশ্যই অসচেতনতা ও অবহেলা ছিলো উল্লেখ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এতো বড় একটি বাণিজ্যিক ভবন সেখানে ফায়ার এক্সিট থাকবে না? আর এটা না থাকার কারণে মানুষ পাগলের মতো ছোটাছুটি করেও বের হতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমরা জাতীয়ভাবে দুর্ভাগ্য, আমরা কেউ এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সচেতন হচ্ছি না। আমাদের কর্তৃপক্ষকে এখন বাধ্য করতে হবে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে। নিমতলীতে ১২৪ জন মরার পরে কী হয়েছে? কিছুই হয়নি। নিমতলীর পর তো চুড়িহাট্টার আগুনের ঘটনা। পরে বনানীর আগুনের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৪৮ জন মারা গেছে। এভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে, গতকালও ৪৬ জন মারা গেছে। এই মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আমি শুনেছি।

তিনি আরো বলেন, গত বছর জুন মাসের ৪ তারিখে আমরা একটা জাতীয় সেমিনার করি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে। সেখানে আমরা নিমতলীর ঘটনা, চুড়িহাট্টার ঘটনা, বঙ্গবাজারের ঘটনা, নিউমার্কেটের ঘটনাসহ সব বড় বড় অগ্নিকাণ্ড পর্যালোচনা করি। সেখানে কী কী সমস্যা, আমরা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করি। কিন্তু সেসব সুপারিশের আজ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে ড. কামাল উদ্দিন বলেন, এখনো দেখেন পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গোডাউন সরেনি। কাদের দায়িত্ব এটা সরানোর? ফায়ার সার্ভিস সরানোর জন্য একের পর এক নোটিশ করবে আর এগুলো সরবে না, এটা তো হতে পারে না।

 

জনপ্রিয়