ঢাকা শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ , ৭ চৈত্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

এমপি আনার হ*ত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কে এই শাহীন

বিবিধ

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২৩ মে ২০২৪

আপডেট: ১৬:৫১, ২৩ মে ২০২৪

সর্বশেষ

এমপি আনার হ*ত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কে এই শাহীন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার (৫৭) হত্যার পরিকল্পনা হয় বহু আগেই। সে অনুযায়ী কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবনী গার্ডেনে ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট ভাড়া করেন মূল পরিকল্পনাকারী এমপির বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন। আগে থেকেই ভারতে অবস্থান করা কয়েক সন্ত্রাসীর সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ থেকে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে যান মূল কিলার চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহকে। যেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি জানিয়েছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন। তিনি এমপি আনারের বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার। এই আক্তারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং মার্কিন পাসপোর্টধারী। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তার বাড়ি। কোটচাঁদপুরের পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, মার্কিন পাসপোর্টে তার নাম মো. আক্তারুজ্জামান, পাসপোর্ট নম্বর ইউএসএ ৫৬৬৮৩৩১৯৭। ঝিনাইদহের স্থানীয় সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গে যুক্ত এই শাহীন। এমপি আনারের সঙ্গে তার সখ্য এবং দুজন মিলেই সীমান্তের চোরাচালান চক্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ১০ মে কলকাতা থেকে শাহীন বাংলাদেশে এসে কোটচাঁদপুরে যান।

গোয়েন্দা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এমপি আনারের সঙ্গে শাহীনের স্বর্ণের বড় একটি চালান নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এমপি ওই চালানের টাকা শাহীনকে দেননি। এটা নিয়ে দীর্ঘ ঝামেলার পর মূলত কলকাতায় অন্যান্য পার্টনারের সঙ্গে মীমাংসার জন্য যান এমপি আনার। মূলত তাকে এক নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে কলকাতায় নেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, শাহীন তার ভাই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মনিরুজ্জামান মনার মাধ্যমে অন্তত ২০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হন। সেখানে বসেই দেশে স্বর্ণ ও অস্ত্র কারবার নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। কোটচাঁদপুরের অদূরে এলাঙ্গী গ্রামে তার একটি বাগানবাড়ি রয়েছে। দেশে এলে সেখানে বসত মদের আসর। সেখানেই পরিকল্পনা হতো স্বর্ণ ও অস্ত্র কারবারের।

পরিকল্পিতভাবে আনারকে যে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রমাণ পেয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তবে তার মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার তদন্ত করছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির মহাপরিদর্শক অখিলেশ চতুর্বেদী বলেছেন, ‘আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি, যার ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে যে ওনাকে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি জানান, পূর্ব কলকাতার নিউ টাউন অঞ্চলে যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিম আনার উঠেছিলেন, সেটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরের কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার রায়ের। সন্দীপের কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। আকতারুজ্জামানই ওই ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিমের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসিক এলাকা সঞ্জীবনী গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে গতকাল তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেখানে কী ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া গেছে বা রক্তের দাগ পাওয়া গেছে কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি অখিলেশ চতুর্বেদী। তিনি বলেছেন, পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ তদন্তের কাজ শুরু করেছে। তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আনারের সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তি এই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন জানিয়ে অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন,

তারা কবে বেরিয়ে গেলেন, সে বিষয়ে আমরা তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলতে পারছি না। এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে, ১৩ মে তিনি এখানে এসেছিলেন। তবে তার আগেও এসেছিলেন কি না, সেটা আমরা এখনো জানি না।

আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করে দেহ খণ্ড খণ্ড করে ফেলা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও কিছু বলতে চাননি সিআইডি প্রধান।

জনপ্রিয়