ঢাকা রোববার, ১৬ জুন ২০২৪ , ১ আষাঢ় ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

আবেদনের সুযোগ না দিলে শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের কঠোর কর্মসূচি

শিক্ষা

এম. এম. তানভীর হাসান

প্রকাশিত: ০০:১০, ২৩ মে ২০২৪

আবেদনের সুযোগ না দিলে শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের কঠোর কর্মসূচি

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ চান ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

মানবন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ও সচিবসহ অন্যদের অদক্ষতা ও অবহেলায় ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ও সচিব নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে কলোনিযুগের আচরণ করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। 
করোনার অজুহাত দিয়ে দীর্ঘদিন পরীক্ষা আয়োজন থেকে বিরত থেকেছে এনটিআরসিএ। তাদের কারণে আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। আবেদনের সুযোগ না দিলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনে যাবো।

এ ফোরামের উত্তম সরকার বলেন, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের গ্যাঁড়াকলে আমাদের জীবন আটকা পড়েছে। এর দায় এনটিআরসিএর। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় আমাদের অনেকের বয়স ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪ বছর থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী জমির উদ্দীন বলেন, এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে রাজধানীর ইস্কাটনে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছি। তখন পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের তুলে দিয়েছেন। তাই আমরা প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছি, এখন থেকে এখানেই আন্দোলন কর্মসূচি দেবো। প্রেস ক্লাবই দাবি-দাওয়া জানানোর আসল জায়গা। 

এর আগে আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন তারা। 

মানবন্ধন শেষে একজন নিবন্ধনধারী বলেন, রিট ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন ১৭তম ৩৫ প্লাসদের অনেকে। আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলেও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী তা আমাদের জানাননি। এবারও নতুন করে ওই খপ্পরে পড়েছেন কেউ কেউ।

জনপ্রিয়