ঢাকা শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

ইউজিসিকেই শিক্ষা কমিশনের দায়িত্ব দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২ মে ২০২৫

সর্বশেষ

ইউজিসিকেই শিক্ষা কমিশনের দায়িত্ব দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকেই (ইউজিসি) আমরা শিক্ষা কমিশন বলে সংস্কার করতে চাই। এটা সরকারের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে, পরে কী হয় জানি না। এর অনেক কাজ থাকতে পারে।

শুক্রবার (২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘ডিইউ রিসার্চ এক্সিলেন্স রিকগনিশন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের গবেষণা উপকরণের অপ্রতুলতা আছে। কোনো প্রতিষ্ঠানে যে সুবিধা আছে, অন্য প্রতিষ্ঠানে আবার তা নেই। ইউজিসির মাধ্যমে যদি এটার একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যায়, তাহলে আমাদের যতটুকুই গবেষণাগার আছে, আমরা এর পূর্ণ ব্যবহার করতে পারবো।’

উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসলে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা দান করা হয়। আমাদের গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যেখানে পোস্ট-ডকসহ সব সুবিধা থাকবে। কিন্তু এখন আমাদের সেদিকে এগোতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এসডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের ওপর পেটেন্ট রাইট আরোপ হবে, বিশেষ করে ওষুধ শিল্পে। বহুজাতিক কোম্পানিদের পেটেন্টনির্ভর মুনাফা, এটাই এখন বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করছে। তাই আমাদের মতো করে, আমাদের দেশের উপযোগী করে, নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা পরিচালিত করলে, নিজেরা পেটেন্ট করতে পারবো। তাহলে আমরাও পেটেন্ট রপ্তানি করতে পারবো। আমরাও তখন মাল্টিন্যাশনাল হবো।’ 

এর আগে সর্বপ্রথম শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের বিশেষ ফেসবুক লাইভে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের ধারণা দেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। একইসঙ্গে তিনি এ ব্যপারে তাগিদও দেন। তিনি বলেছেন, শিক্ষা কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আমার দাবি হলো, এই কমিশন যেনো শুধু সংস্কার করার জন্য না হয়, এটি যেনো একটি স্থায়ী কমিশন হয়। মিনিস্ট্রি এবং এই শিক্ষা কমিশন একটি প্যারালাল ইনস্টিটিউশন হবে।

তিনি আরো বলেন, মিনিস্ট্রির এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা থাকবে, রাজনৈতিকভাবে মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হবে। এবং তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে। যেটা গতানুগতিকভাবে আমরা দেখেছি। আর শিক্ষা কমিশন যদি সাংবিধানিকভাবে দেয়া হয় এবং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ননস্টপ কাজ করবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তারা অ্যাডভাইস করতে থাকবে। ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করবে।

নিউজিল্যান্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রয়েছে এবং আরেকটা উইং রয়েছে তারা ওয়াচ ডগস (প্রহরী) হিসেবে কাজ করছে। এবং তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সাজেশন দিতে থাকে, একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের রিপোর্টগুলো সাবমিট করতে পারে। মূলত আমি চাচ্ছি এই রাজনৈতিকভাবে যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেয় সেগুলো যেনো না হয়। অর্থাৎ সরকার পরিবর্তন হবে। কিন্তু যুগের সঙ্গে মিলিয়ে শিক্ষার ধারাবাহিকতা যেনো ননস্টপ থাকে সে ধরনের একটা কমিশন গঠন করতে হবে।

এই কমিশনের গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি ইনডিভিজুয়ালি ইনস্টিটিউশন হতে পারে। উন্নত বিশ্বে লেখাপড়ার যে ধরন পাল্টে যাচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এটি কাজ করবে। কারিকুলাম, পরীক্ষা পদ্ধতি, কারিগরি শিক্ষা প্রয়োজন এসব বিষয় মিলিয়ে চলমান একটা শিক্ষা ব্যবস্থা থাকতে হবে। কারণ মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী এসে, নতুন প্ল্যান দেবেন। কিন্তু শিক্ষা তো নতুন প্ল্যান দেয়ার বিষয় নয়। এটি ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। সেজন্য একটি কমিশনন থাকতে হবে। এটি কেউ মিসইউজ করতে পারবে না।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

জনপ্রিয়