
সরকারপ্রধান ও তার নিয়োগ কর্তাদের সরাসরি রাজনীতিতে নামার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সরকার থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতির মাঠে আসুন। দেশের জনগণ যাকে মেনে নেয়, আমরাও তাকেই গ্রহণ করবো। সরকারের ক্ষমতা আর মববাজি দিয়ে দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালাবে আমরা তা মেনে নেবো না।’
শুক্রবার (২ মে) কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কতা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেছেন, ‘আপনারা দেশের অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর ভোটাধিকার দিতে চান না, আমরা আপনাদের ঐ চিন্তার ধার ধারি না। দেশের মানুষ যদি আমাদের গ্রহণ না করে আমরা মাথা পেতে নেবো, কিন্তু আপনারা আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের রাজনীতি বাধাগ্রস্ত করবেন, তা মেনে নেবো না। যেহেতু আপনি অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন করতে পারছেন না, দয়া করে আপনি বিদায় হোন।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘যারা সংস্কার করছেন, তারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট জানেন না। আপনারা সংস্কার প্রস্তাবগুলো টেবিলে রেখে যান, পরবর্তী নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাই সংস্কার করবে। এই মুহুর্তে আমরা সংস্কার চাই না। সরকার প্রধান হিসেবে তার উপরে আমাদের কোন আস্থা নেই, আমরা তাকে চাই না।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘তারা যে নতুন দল করেছে, তা পুরনো স্টাইলেই আগাচ্ছে। চাঁদাবাজি ও শোডাউনের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা কাকের গায়ে ময়ুরের পালক লাগিয়েছে। তারা দেশের পরিবর্তনের জন্য কোনো কাজ করছে না।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে অনেক কল কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব মিল-কারখানা চালু করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। কৃষকরা ফসল উৎপাদন করছে, দাম পাচ্ছে না। গত রমজানে সরকার বাহাদুরি করে বলেছে, সব নিত্য পণ্যের দাম কম। কিন্তু, সরকার বোঝে নাই কৃষকদের কষ্ট। ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকরা ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এখন মালামালের দাম বেড়েছে, কিন্তু কৃষক ও শ্রমিকের হাতে টাকা নেই এবং ব্যবসায়ীদের হাতেও টাকা নেই। এই সরকার দেশকে বিপজ্জনক ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’