
দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপনে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে নিউজ আপডেটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই নিউজ আপডেটে সুপ্রিমকোর্ট হেল্পলাইনের সাফল্য, বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের প্রস্তাবিত সুপ্রিমকোর্ট সচিবালয়ের অধীনস্থ করে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বেঞ্চ সহকারীকে সুপ্রিমকোর্টের বরখাস্তের তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচারসেবা প্রদানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে একজন বেঞ্চ সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৪’ এর খসড়ায় প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ নাম পরিবর্তন করে ‘সুপ্রিমকোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান গণসংযোগ কর্মকর্তা। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ও দেশের জেলা আদালতগুলোতে কর্মরত বিচারকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। প্রধান বিচারপতি ঘোষিত সে রোডম্যাপে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণ বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।
ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইতিবাচক সহযোগিতায় বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রস্তুতকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে বলে গণসংযোগ কর্মকর্তা জানান।