
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, এবারের র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ শিক্ষকদের প্রোফাইল আপডেট না থাকা। আমাদের শিক্ষকদের একটা বড় অংশ তাদের প্রোফাইল আপডেট করছেন না। আমরা নতুন যা করেছি তা প্লে করতে পারছি না। শিক্ষকদের প্রোফাইল আপডেট করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, যার-যার প্রোফাইল আপডেট করতে হবে।
শুক্রবার (২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘ডিইউ রিসার্চ এক্সিলেন্স রিকগনিশন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক ফাউন্ডেশন কোর্সের প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উপাচার্য বলেন, আমাদের শক্তির অন্যতম ভিত্তি হলো গবেষণা।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘গবেষণার মানোন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও গবেষক তৈরির পরিবেশ তৈরির জন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা তাদের সাহায্য নেবো। আমাদের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টিমওয়ার্ক বাড়ানো এখন খুবই দরকার। সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড পিওর সায়েন্সের মধ্যের সংযোগ স্থাপন করা দরকার।’
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষকের অনেক গবেষণা আছে। কিন্তু অনেকেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের প্রোফাইল আপডেট করছেন না। সবাইকে নিজ নিজ প্রোফাইল আপডেট করতে হবে। শিক্ষকরা সিরিয়াস হলে আমরা আমাদের শিক্ষা ও গবেষণার মান বদলে দিতে পারবো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রমকে উৎসাহ প্রদান, গবেষণায় উৎকর্ষ সাধন, গবেষকদের অনুপ্রাণিত করা, নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে গবেষকদের সংযোগ স্থাপন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ‘উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগের গুরুত্ব’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
দ্বিতীয় অধিবেশনে গবেষণা ও বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রায় তিনশ জন খ্যাতিমান শিক্ষক ও গবেষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জানা যায়, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব গবেষকের গবেষণা প্রবন্ধ ‘হাই-ইম্প্যাক্ট জর্নালে’ প্রকাশিত হয়েছে, তাদেরকেই এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।