
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে আবারও সভাপতি করে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জেলা তাঁতী লীগ। সাংবাদিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সহিদুর রহমান লিপন উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে।
জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু ও সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে আগামী ৩ বছরের জন্য সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে দলীয় প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।
সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামিকে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে চলে নানা আলোচনা সমালোচনা।
গত ১৪ জুন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ৭১ টিভি ও বাংলানিউজের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। পরদিন ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে ১১ নম্বর আসামি করা হয় উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি সহিদুর রহমান লিপনকে। সহিদুর রহমান লিপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে তাকে সভাপতি পদ থেকে ওই সময় সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করে জেলা তাঁতী লীগ।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু ও সদস্য সচিব আরমান হোসেন জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় সহিদুর রহমান লিপনকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহত দেওয়া হয়েছিল। এখন তিনি ওই মামলায় জামিনে আছেন। এছাড়া নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে। যে কারণে তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলার তাঁতী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আবারও সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, নাদিম হত্যা মামলটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। যা দেশ জুড়ে আলোচিত। এই হত্যা মামলার আসামিকে ক্ষমতাসীন দলের একটি সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া মানে আসামিকে পুরস্কৃত করার সামিল।