
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের স্মৃতি টাটকা থাকতে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারত সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু নাজমুল হোসেন শান্তদের ভারত মিশন।
প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে এর আগে ১৩ টেস্টে মুখোমুখি হলেও কখনো জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। ১১ টেস্ট হারের বিপরীতে ড্র করতে পেরেছে বাকি দুটিতে।কিন্তু অতীত পরিসংখ্যান দিয়ে কি আর সবকিছু বিচার করা যায়? পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের আগেও তো টেস্টে বাবর আজমদের কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সে দলই পাকিস্তানকে পাকিস্তানের মাটিতে নাস্তানাবুদ করে এসেছে।
আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর এ বাংলাদেশ যে আগের চেয়ে বেশি ভয়ংকর, সেটা জানেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। সে কারণেই আসন্ন টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছেন তিনি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে হার্শা বলেছেন, ‘প্রথমত আমি খুব খুশি যে, ভারত আরেকবার বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বাংলাদেশ এমন এক দল, যাদের নিয়মিত খেলতে ডাকা হয় না। তাদের শুধু অতীত সফরের স্মৃতি জাবর কাটতে হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে তারা ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া তাদের মাত্র একবার (টেস্ট খেলতে) ডেকেছিল, সেটাও ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে। ডারউইনে সে ম্যাচটা হয়েছিল আবার অফ-সিজনে (অসময়ে)। আমি খুব খুশি যে, ভারত এখানে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভারতের মাটিতে তাদেরকে টেস্ট খেলার সুযোগ দিয়েছে।’
এ সিরিজে ভারতকে ফেবারিট মানলেও বাংলাদেশ ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে বিশ্বাস হার্শার, ‘ভারত ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামবে। তবে আমি বাংলাদেশ থেকে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছি। যদিও এর আগে কখনো সেটা (লড়াই) দেখিনি। আর যদি তারা লড়াইটা করতে পারে, তাহলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা দারুণ হতে যাচ্ছে।’