ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা বাঁধ প্রকল্পের (ডিএনডি বাঁধ প্রকল্প) এলাকার জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত অপসারণ করা না হলে ময়লা পানিতে গলা পর্যন্ত নেমে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। গতকাল রোববার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ ডিএনডি প্রধান লেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ পাম্প হাউস পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ৩০-৪০ লাখ মানুষ বসবাস করে এই ডিএনডি প্রজেক্টের মধ্যে। শিল্প কারখানার ময়লাসহ এমন কোন ময়লা বিষাক্ত পদার্থ নেই যা এখানে নেই। ওই পানিতে চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এখানকার মানুষেরা। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস রাখেন, আমার প্রতি বিশ্বাস রাখেন। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিএনডির জলাবদ্ধ পানি অপসারণ করা না হয় তাহলে প্রতিবাদ হিসেবে আমি আপনাদের ছাড়া একাই ময়লা পানিতে গলা পর্যন্ত নেমে দাঁড়িয়ে থাকবো যতক্ষণ পানি অপসারণ করা না হয়। কেউ আমাকে উঠাতে পারবে না। যা হবার হবে।
ঈদুল আজহার আগে ও পরে টানা কয়েকদিনের বর্ষণে ডিএনডির অভ্যন্তরে সিদ্ধিরগঞ্জ, পাগলা, কুতুবপুর, মুন্সিবাগ, শহীদবাগ, মিজমিজি, কদমতলী, কদমতলী নয়াপাড়া পশিম, শান্তিধারা, গিরিধারা, জালকুঁড়ি, ভূঁইগড়, মাতুয়াইলসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শামীম ওসমান বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন- আর কয়েকটা দিন সময় তিনি চান। ডিএনডি প্রজেক্টের জন্য ১২শ ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মূলত করোনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই টাকা আসতে দেরি হচ্ছে। তবে জুলাই মাসেই টাকাটা আসবে। যেহেতু সেনাবাহিনী কাজটি করছে-আমার প্রত্যাশা, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করা যাবে।