
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় দৈনিক আমাদের বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর ব্যানবেইসে ভুয়া শিক্ষকের তথ্য দেয়া সেই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে। মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বৃহস্পতিবার বিদ্যামাধুরী শিক্ষায়তন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণীকে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ দেন এবং ৭ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
জানা যায়, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে ব্যাকডেটে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে ফারুক হোসেন নামের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়ে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ওই বছরের ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফারুক হোসেন নামের কোন শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণী দাবি করেন, তার প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই। একই দাবি করেছিলেন তার স্বামী এবং ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি পরিমল রায়।
সে সময় ওই বিদ্যালয়ের ব্যানবেইসে ফারুক হোসেন নামের কোনো শিক্ষকের তথ্য পাওয়া যায়নি। এর প্রায় দীর্ঘ পৌনে দুই বছর পরে দৈনিক শিক্ষা ডটকমের হাতে আসা পরবর্তীতে আপলোডকৃত ব্যানবেইসের তথ্যে দেখা যায় গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে ফারুক হোসেনের নাম। তাকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ এপ্রিল নিয়োগ দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতী রাণীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে আমি ওই বিদ্যালয়ের ব্যানবেইসের তথ্যে ফারুক হোসেন নামের একজনকে দেখি। যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গত ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ এপ্রিল। কিন্তু আমি গত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জানুয়ারি এই উপজেলায় বদলি হয়ে আসি। তখন থেকে এ পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে এই পদে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।