খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হলে রুমের লাইট বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের এক শিক্ষার্থীর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী লিমন শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী এবং তিনি খান জাহান আলী হলের (খাজা হল) ১১০ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে হলের কক্ষে লাইট জ্বালানো নিয়ে একই রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী জারিফের সঙ্গে ভুক্তভোগী লিমনের কথা কাটাকাটি হয়।
পরের দিন অর্থাৎ বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ জারিফ এবং তার সহপাঠী তামিম ও পল রুমে ঢুকে লিমনকে ঘুম থেকে তুলে ‘কথা আছে’ বলে হলের বাইরে ডেকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু লিমন তাদের মতিগতি ভালো না বুঝে বাইরে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং একপর্যায়ে খান খাজা হলে সামনের গোল চত্বরে বসে কথা বলতে রাজি হয়।
হলের সামনের গোল চত্বরে কথা বলার একপর্যায়ে উত্তেজিত জারিফ লিমনকে বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং এর পরপরই আস্ত ইট তুলে মাথায় আঘাত করে। আঘাতের ফলে ভুক্তভোগীর মাথায় প্রচুর রক্তপাত শুরু হলে সে হলে ফিরতে চায়। কিন্তু তখন জারিফের বন্ধু তামিম তাকে হলে যেতে বাধা দেয় এবং অন্য কোথাও নিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তবে লিমন তৎক্ষনাৎ তার হলের রুমে গিয়ে বিষয়টি তার সিনিয়রদের জানায়। এরপর লিমনকে চিকিৎসার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভুক্তভোগীর ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জারিফ বলেন, আমার টিউশান থেকে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে রুমে আসতে প্রায়ই দেরি হয়ে যায়। এরপর রুমে আসার পর নামাজ আদায় করার জন্য রুমের লাইট জ্বালানোর প্রয়োজন পড়ে। তবে আমার রুমমেটদের (লিমন এবং সুমন) আপত্তি থাকায় তারা রাত ১২টার মধ্যে রুমের লাইট বন্ধ রাখতে বলেন।